সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন চা বিক্রিতা
- দাড়ি কেটে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন
- পাঠিয়েছেন ১০০ টাকাও
- দারিদ্র সমস্যা দূর করার আবেদন জানিয়েছেন চিঠিতে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ১০০ টাকা মানি অর্ডার পাঠিয়েছেন এক চা বিক্রিতা। সঙ্গে পাঠিয়েছেন একটি চিঠিও। তাতে চা বিক্রেতার আর্জি
'দয়া করে প্রধানমন্ত্রী দাড়িটা কামিয়ে ফেলুন। আর নজর দিন দেশের উন্নয়ন, দারিদ্র সমস্যা সমাধানে।' করোনাভাইরাসের দেশের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে প্রচুর মানুষের। তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা। সেই সমস্যা সধানের পাশাপাশি টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করারও আবেদন রয়েছে চিঠিতে।
মহারাষ্ট্রের বারামতি এলাকা চায়ের একটি ছোট্ট স্টল রয়েছে অনিল মোরের। দোকানের উপার্জন দিয়ে চলে তাঁর সংসার। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অনিল বলেছেন, বিগত দেড় বছর ধরে গোটা দেশই করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লকডাউন, কার্ফুর ফলে প্রভাব পড়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রে। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো সেক্টরটি। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে অনিল বলেছেন 'প্রধানমন্ত্রী তাঁর দাড়ি বাড়িয়েছেন। তাঁর যদি কিছু বাড়ানোর থাকে তবে তা হল কর্মসংস্থান। দেশের নাগরিকদের করোনা টিকাকরণকে ত্বরান্বিত করার চেষ্টা।' তিনি আরও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী উচিৎ দেশের চিকিৎসা পরিষেবাকে আরও বাড়িয়ে তোলা। দেশের মানুষের দুঃখ কষ্টের অবসান করাই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ও প্রধান কাজ।
একই সঙ্গে পত্র পেরক অনিল মোরে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান দেশের সর্বোচ্চ। 'আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধা আর আস্থা রয়েছে। সেই কারণেই আমার সঞ্চয়ের থেকে আমি তাঁকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি যাতে তিনি তাঁর দাড়ি কামিয়ে ফেলেন।' অনিল জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ নেতা। আর তিনি তাঁকে আঘাত করতে চান না। কিন্তু মহামারির কারণে যেভাবে দেশে দারিদ্রের সমস্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে সেদিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার উপায় হিসেবেই তিনি এই পথ অবলম্বন করেছেন বলেও দাবি করেন চা বিক্রেতা অনিল মোরে।
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠান চিঠিতে চাবিক্রে কোভিডে মৃতদের পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা আর লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পিছি ৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায্য দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।