সংক্ষিপ্ত
একটি হিন্দু পরিবার অভিযোগ করেছে যে তাদের মেয়ে কপালে তিলক পরে স্কুলে যাওয়ার পরে স্কুল শিক্ষক তাকে মারধর করেছে। নিসার আহমেদ নামে ওই শিক্ষককে এখন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
কর্ণাটকের ছায়া এবার জম্মু কাশ্মীরে ? হিজাবের বদলা তিলকে? জম্মুর রাজৌরিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে এমনটা মনে হওয়া স্বাভাবিক। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার একটি হিন্দু পরিবার অভিযোগ করেছে যে তাদের মেয়ে কপালে তিলক পরে স্কুলে যাওয়ার পরে স্কুল শিক্ষক তাকে মারধর করেছে। নিসার আহমেদ নামে ওই শিক্ষককে এখন রাজৌরি জেলার ডেপুটি কমিশনারের আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ডেপুটি কমিশনারের আদেশে বলা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে যে মিডল স্কুল খাদুরিয়ান পঞ্চায়েত ড্রামনের দুই ছাত্রীকে ওই শিক্ষক বেদম মারছেন। সেই ভিডিও সামনে এসেছে।
একটি শিশুকে আঘাত করা একটি অপরাধের সমান এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৩৫২ এবং ৫০৬ ধারার অধীনে একজন ব্যক্তিকে শাস্তির জন্য দায়ী করতে পারে। এরইসঙ্গে জুভেনাইল জাস্টিস (চিল্ড্রেন এর যত্ন ও সুরক্ষা) আইন, ২০০০-এর ধারা ২৩ অনুযায়ী- "যার কাছে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে, তিনি/সে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন, যা ছয় মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। "
এদিকে নিসার আহমেদকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশকে ঘটনার তদন্ত, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে কি না, সেই সঙ্গে শিশুটিকে মারধরের কারণ ইত্যাদি জানতে বলা হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, রাজৌরির সিনিয়র পুলিশ সুপার মহম্মদ আসলাম চৌধুরী বলেছেন, "আমরা এই ঘটনাটি নোট করেছি। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি যে একটি নাবালিকা মেয়েকে মারধর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে কিছু আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি"।