ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই দুই শিক্ষক শিক্ষিকা একে অপরকে চড় মারছে। ওই শিক্ষিকাকে ধাক্কা দেন শিক্ষক। তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যান।

এক শিক্ষক ও শিক্ষিকার মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সাক্ষী থাকল গোয়ালিয়র জেলার একটি সরকারি স্কুল। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে সেই দুই শিক্ষক শিক্ষিকা একে অপরকে চড় মারছে। ওই শিক্ষিকাকে ধাক্কা দেন শিক্ষক। তিনি সিঁড়ি থেকে পড়ে যান। তবে আহত হলেও, তিনি বেঁচে যান। শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, ওয়াশরুমে যাওয়ার সময় ওই শিক্ষক নাকি তাঁর ভিডিও করছে। জেলা শিক্ষা অফিসার অজয় ​​কাটিয়ার বলেছেন যে ভিডিওর ভিত্তিতে উভয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি আদুপুরে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ঘটেছে। এখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় একই ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়। ঘটনায় যুক্ত বিদ্যা রাতুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, শিশুপাল সিং মধ্য বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গত কয়েকদিন ধরে কোনো একটি বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। আসলে, অভিভাবকরা জানতে পেরেছিলেন যে শিক্ষকরা স্কুলে দেরিতে আসেন। এ প্রসঙ্গে এক শিশুর অভিভাবকরা স্কুলে আসেন। তিনি আসার সাথে সাথে স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি দেখতে মোবাইলে ভিডিও করা শুরু করেন। এসময় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বিদ্যা রাতুরী ক্লাসের ভেতরে যান।

সেখানে উপস্থিত স্কুল ইনচার্জ রাজীব গৌতম ভেবেছিলেন বিদ্যা রাতুরি অভিভাবকদের ডেকেছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অন্য শিক্ষক শিশুপাল যাদৌন। গ্যালারি থেকে শিক্ষিকাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষক চপ্পল দিয়ে মারধর শুরু করে এমনকি চড়-থাপ্পড়ও মারে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনও হস্তক্ষেপ করে। এরপর বিদ্যা রাতুরীও তার স্যান্ডেল খুলে শিশুপালকে মারতে থাকে। তার কোমর চেপে ধরে তাকে চড়ও দেয়। সেখানে উপস্থিত অভিভাবক এটির একটি ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে দেন।

Scroll to load tweet…

শিক্ষিকা বিদ্যা রাতুরী বলেন, আমাকে স্কুলে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমাদের কিছু ছাত্র বলেছে যে আমরা যখন ওয়াশরুমে যাই তখন পুরুষ শিক্ষকরা বাইরে থেকে ভিডিও করে। কেউ স্কুলে আসতে দেরি করলে বিরক্তি প্রকাশ করে। শিশুদের সামনে ছোটখাটো বিষয়ে অপমান করে। কিছু ম্যাডামকে টার্গেট করা হচ্ছে ক্রমাগত। সিরোল থানার ইনচার্জ অলোক সিং ভাদৌরিয়া বলেছেন যে উভয় পক্ষই অভিযোগ করেছে। শিক্ষিকা দেরিতে আসেন বলে অভিযোগ করেছেন পুরুষ শিক্ষক। বিষয়টি ছিল শিক্ষা বিভাগের। উভয় পক্ষ ইতিমধ্যে ক্লাস্টার সেন্টারেও অভিযোগ করেছে। তদন্তের জন্য বিষয়টি শিক্ষা বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।