সংক্ষিপ্ত

পুলিশ জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন ৩৪ বছরের অতুল সুভাষ। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে।

 

স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আত্মঘাতী! বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহ। সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে একটি ২৪ পৃষ্ঠার একটি নোট। যা পুলিশের অনুমান সুইসাইড নোট বলে। প্রায় দেড় ঘণ্টা একটি ভিডিও রেকর্ডিও পাওয়া গেছে। নোট ও ভিডিও রেকর্ডি দুটিও সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মে একাধিকবার শেয়ার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি আঙুল তুলেছেন তাঁর বিচ্ছিন্ন স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েও তাঁর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন বলে অভিযোগ। স্ত্রী ও স্ত্রীর পরিবার তাদের অযথা হয়রান করেছে বলেও অভিযোগ করেন নিহত ব্যক্তি।

পুলিশ জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন ৩৪ বছরের অতুল সুভাষ। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। সোমবার শহরের মঞ্জুনাথ লেআউট এলাকায় তাঁর বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর মৃত্যুর আগেই সুভাষ, বেশ কয়েকজনকে ইমেল করেন। সেইসঙ্গে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ২৪ পৃষ্ঠার একটি নোট পাঠিয়েছিলেন। একটি ভিডিও রেকডিং করেছিলেন। সেটিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানেই তিনি স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে যান। নিজের বাড়ির সামনে একটি প্ল্যাকার্ডও ঝুলিয়ে দিয়ে যান। সেখানে তিনি লিখে রেখে গেছেন, 'মৃত্যু বাকি আছে'। পুলিশ অতুলের ফ্ল্যাট ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, অতুল তাঁর ভিডিও রেকর্ডিং আর নোটে নিজের স্ত্রী, স্ত্রীর পরিবার, উত্তরপ্রদেশের দৌনপুরের একজন বিচারকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। রাষ্ট্রপতিতে সম্বোধন করে একটি চিঠিও লিখেছেন। সেখানে তিনি দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন। মিথ্যা মামলার প্রবণতাকে চিহ্নিত করেছেন। অন্যএকটি নোটে তিনি বলেছেন, স্ত্রী যেসব অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে করেছে তার জন্য তিনি দোষী নন। এরজন্য রয়েছে যৌতুক নিষেধাজ্ঞা আইনও। তিনি নিজের বাবা-মা, ভাইকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করতে বন্ধ করার জন্যও আবেদন করেছেন।

অতুল সুভাষের ২৪ পাতার নোটটির মধ্যে চারটি পাতা হাতের লেখা। বাকি ২০ পৃষ্ঠা টাইপ করা। তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে দাম্পত্য কলহ থেকে কী ভয়ঙ্কর অশান্তি তৈরি হয়েছে তার কথাই। অতুল স্ত্রী, স্ত্রীর বাবা-মা ও কাকুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রথমে স্ত্রী ও তাঁর পরিবার ১ কোটি টাকা দাবি করেছিল। তারপর তা বাড়িয়ে ৩ কোটি করা হয়। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রী ও তার পরিবার মিথ্যা মামলা সাজাতে থাকে। অতুল আরও অভিযোগ করেছেন যে স্ত্রী তাঁদের সন্তানকেও তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।