সংক্ষিপ্ত
- বন্ধুদের সঙ্গে শপিং মলে গিয়েছিল ১৭ বছরের পড়ুয়া
- তার বিরুদ্ধে মল থেকে চকোলেট চুরির অভিযোগ ওঠে
- মলের কর্মীরা তাকে ধরে বেধড়ক মারে বলে অভিযোগ
- হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে
সোশাল মিডিয়ায় চকোলেট ডে নিয়ে যাবতীয় হইচই থেকে সম্ভবত দূরেই ছিল ওই কিশোর। তবু চকোলেটের চুরির বদনামেই অকালে মরতে হল তাকে। ১৭ বছরের এক দলিত কিশোর, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হায়দরাবাদের একটি শপিং মলে যায়। অভিযোগ, তাকে নাকি চকোলেট চুরি করতে দেখেন মলের নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপর তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারা হয় বলে অভিযোগ। ছেলেটির বাবা অভিযোগ করেন, নিরাপত্তারক্ষীদের মারেই মৃত্য়ু হয় তাঁর ছেলের। রবিবার রাতের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
ছেলেটির পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চকোলেট সে চুরি করেনি। নেহাতই সন্দেহের বশে তাকে মারধর করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজেও স্পষ্ট দেখা গিয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা ছেলেটিকে মারধর করেছে। ওই মারেই অজ্ঞান হয়ে যায় সে। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিক এ বেঙ্কটাইয়া জানান, দ্বিতীয়বর্ষের ওই পড়ুয়া একটি বেসরকারি কলেজে পড়ত। হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত সে। বন্ধুদের সঙ্গে মলে গিয়েছিল কিছু কেনাকাটা করতে। মলের দরজা তখন বন্ধ হওয়ার মুখে। মল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছেলেটি একটি চকোলেট তুলে নেয় মল থেকে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের দেখে সেই চকোলেট ছুড়ে ফেলে দেয়। তারপর তাকে নিরাপত্তারক্ষীরা ধরে মারধর করে। ওই সময়ে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে , মলের কর্মীরা ছেলেটিকে মারধর করছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্টেই মারা গিয়েছে ছেলেটি। যদিও মৃতের বাবা দাবি করছেন, মলের কর্মীদের মারেই মৃত্য়ু হয়েছে তাঁর ছেলের। তাই ওই কর্মীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না-পাওয়া অবধি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না কীভাবে মৃ্ত্য়ু হয়েছে ছেলেটির।