সংক্ষিপ্ত
- রাবড়ি ও মিসার দিকে অভিযোগের আঙ্গুল
- অভিযোগ করলেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই
- বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে
- পুলিশের দ্বারস্থ ঐশ্বর্যার পরিবার
লালুপ্রসাদ যাদবের পরিবারের ঝামেলা ফের প্রকাশ্যে। এবার শাশুড়ি রাবড়ি দেবীর দিকে গুরুতর অভিযোগ আনলেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্যা রাই। লালুর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের স্ত্রী ঐশ্বর্যার অভিযোগ নিয়মিত পুত্রবধূকে অকথ্য গালিগালাজ করতেন রাবড়ি। এমনকি তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলন লালু ঘরণী। খাবার দেওয়া হত না ঐশ্বর্যাকে। কেবল রাবড়ি নয়, স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরির জন্য লালুর বড় মেয়ে মিসা ভারতীর দিকেও অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন ঐশ্বর্যা।
শ্বশুর লালুপ্রসাদ এবং দেওর তেজস্বী ছাড়া শ্বশুরবাড়ির বাকি সকলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছেন ঐশ্বর্যা। তবে শ্বশুর চাইলে সমস্ত কিছু ঠিক করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন তেজপ্রতাপের স্ত্রী। এই বিষয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ঐশ্বর্যার পরিবার।
গত বছর মে মাসে তেজপ্রতাপের সঙ্গে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল ঐশ্বর্যার। ঐশ্বর্যার পরিবারও বিহারের রাজনীতিতে যথেষ্ট সুপরিচিত। বিহারের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী দারোগা রাইয়ের নাতনি ঐশ্বর্যা। তাঁর বাবা আরজেডি নেতা চন্দ্রিকা প্রসাদ। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই এমবিএ ডিগ্রিধারী ঐশ্বর্যার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না বলে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন তেজপ্রতাপ। তবে স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও শ্বশুরবাড়িতেই ছিলেন ঐশ্বর্যা। কিছু দিন আগে তাঁকে অবশ্য সেই বাড়ি থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
বিয়ে বাঁচানোর জন্যই তিনি তিন মাস ধরে শ্বশুরবাড়িতে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ঐশ্বর্যা। রবিবার রাতে বাবা চন্দ্রিকা রাই ও মা পূর্ণিমাকে নিয়ে লালুর বাড়িতেও যান ঐশ্বর্যা। কিন্তু বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকায় ধর্নাতেও বসেন তাঁরা।