Khammam: তেলঙ্গানার খাম্মামে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাল শিশু। পড়াশোনার সর্বক্ষণের সঙ্গী পেন্সিলই যে ঘাতক হয়ে যাবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবা যায়নি। কিন্তু বাস্তবে ঠিক সেটাই হল।
KNOW
Khammam Shocker: হাতে থাকা পেন্সিলই যে প্রাণ কেড়ে নেবে, তা কোনওদিন ভাবতেই পারেনি বাচ্চাটা। কিন্তু দুর্ঘটনা কখনও বলে-কয়ে আসে না। দুর্ঘটনায় যে কোনও সময় যে কোনও কিছুই হতে পারে। ঠিক সেটাই দেখা গেল তেলঙ্গানার (Telangana) খাম্মাম জেলার (Khammam district) কুসুমাঞ্চি মণ্ডলের (Kusumanchi mandal) নায়াকাগুডেম (Nayakangudem) অঞ্চলের এক বেসরকারি স্কুলে। আপার কেজি-র এক পড়ুয়া বাকি সবার মতোই লেখার জন্য পেন্সিল নিয়ে স্কুলে গিয়েছিল। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু টিফিনের বিরতির সময় হঠাৎই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। এই পড়ুয়া পেন্সিল হাতে নিয়েই শৌচাগারে গিয়েছিল। সেখান থেকে ক্লাসরুমে ফেরার সময় ছুটছিল। হঠাৎ সে পড়ে যায়। তার হাতে থাকা পেন্সিল গলায় বিঁধে যায়। এরপরেই রক্তপাত শুরু হয়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই পড়ুয়াকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আগেই বাচ্চাটার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্কুলে এবং বাচ্চাটার গ্রামে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে।
তদন্ত শুরু পুলিশের
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম মেডারাপাউ বিহার। তার বয়স ছয় বছর। এই বয়সের আর পাঁচটা সুস্থ-স্বাভাবিক বাচ্চার মতোই সে বাড়িতে, স্কুলে লাফালাফি-ছোটাছুটি করত। বুধবারও টিফিনের সময় সেভাবেই ছিল। পেন্সিলটা বোধহয় নতুন বা তার প্রিয় ছিল। এই কারণে শৌচাগারে যাওয়ার সময়ও পেন্সিল হাতছাড়া করেনি। কিন্তু এই পেন্সিলই তার প্রাণ কেড়ে নিল। স্কুলের কর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল তিনটে নাগাদ ছুটতে গিয়ে পা হড়কে পড়ে যায় বাচ্চাটা। পেন্সিলের শিষ তার গলায় বিঁধে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণেই মৃত্যু
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাচ্চাটার শ্বাসনালিতে আটকে যায় পেন্সিলের শিষ। এর ফলে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয় এবং শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল। এই কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


