সংক্ষিপ্ত

নাবালিকা ধর্ষণ ঢাকতে আরও ১০টি হত্যা

এমনই বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ

লকডাউনে সাড়া ফেলে দিযেচিল তেলেঙ্গানার একটি কুয়ো থেকে পাওয়া বাহালি পরিবারের নয়জনের দেহ

সেই ঘটনায় আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিল স্থানীয় আদালত

একটি অপরাধ ঢাকতে গিয়ে কীভাবে একজন অপরাধী পর পর আরও নৃশংস অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তার সবচেয়ে ভালো নিদর্শন এই ঘটনা। ভারতে লকডাউন চলাকালীন দারুণ সাড়া ফেলেছিল এই ঘটনা। তেসলেঙ্গানার একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয়েছিল একই পরিবারের ১০ বাঙালীর দেহ। প্রথমে আত্মহত্যা বলে সন্দেহ করা হলেও পরে জানা গিয়েছিল, এর পিছনে রয়েছে তাঁদের ঘনিষ্ঠ এক বিহারি পরিযায়ী শ্রমিকের ভয়ঙ্কর অপরাধ। অবশেষে শুক্রবার ১০ জনকে খুন ও নাবালিকার ধর্ষণের অপরাধে তাকে মৃত্য়ুদন্ড দেওয়া হল।

ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম সঞ্জয় কুমার যাদব, বয়স ২৪। তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গলের এক কারখানায় কাজ করত সে। সেখানে থাকতে থাকতেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় তার। সেই পরিবারের এক মহিলা এবং তাঁর তিন সন্তানের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন সে। কিন্তু, এরইমধ্যে ওই মহিলার ১৬ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে সে। ওই মহিলা তাকে ওই নবালিকার সঙ্গে দেখে ফেলে। এরপরই ওই মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সঞ্জয়।

তারপর গত ৬ মার্চ ওই মহিলাকে নিয়ে সে ট্রেনে উঠেছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অছিলায়। পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্রেন পশ্চিম গোদাবরী জেলায় পৌঁছতেই মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে ওই মহিলাকে বেহুশ করে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছিল সে। কয়েক দিন পর একাই ফিরে আসে ওয়ারাঙ্গলে। তাকে একা দেখে বাঙালি পরিবার তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার হুমকি দিয়েছিল।

এরপরই পরিবারের আরও নয়জনকে হত্যার ছক কষে সে। প্রথমে মাদক খাইয়ে বেসামাল করে, পরে নয়জনকেই সে এক এক করে ওই এলকার এক পরিক্তক্ত কুয়োতে ফেলে দিয়েছিল। আদালতে সরকার পক্ষের উকিল এই অপরাধ কে 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' উল্লেখ করে অভিযুক্তের মৃত্য়ুদন্ডের আবেদন করেছিলেন। এদিন ঘটনার মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় এই ঘটনার রায় দিল তেলেঙ্গানার এক স্থানীয় আদালত। মৃত্য়ুদন্ড ছাড়া আর কোনও রায় দেওয়ার কথা ভাবেননি বিচারক।

পুলিশ সঞ্জয়ের ফোন থেকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার একটি ভিডিও-য় উদ্ধার করেছে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে পৃথক মামলা করা হয়েছে।