সংক্ষিপ্ত

বিহারে নির্বাচনের পর একমাসও যায়নি

এর মধ্যেই দ্বন্দ্বে জড়ালো শাসক জোট

সূত্রপাত অরুণাচল প্রদেশের এক রাজনৈতিক বিকাশ থেকে

সুযোগ বুঝে নীতিশ-কে নয়া প্রস্তাব দিল আরজেডি

নির্বাচনের পর একমাসও যেতে না যেতেই ফের বিহার রাজ্য রাজনীতিতে তুঙ্গে উঠেছে উত্তেজনা। এর সূত্রপাত ঘটেছে গত সপ্তাহে অরুণাচল প্রদেশের এক রাজনৈতিক বিকাশ-কে কেন্দ্র করে। সেই রাজ্যে জেডিউ-এর ৬ জন বিধায়ক দল বদলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। যার জেরে ফাটল তৈরি হয়েছে বিহার এনডিএ-এর দুই শরিকের মধ্য়ে। যাকে কাজে লাগিয়ে সরকার মাঠে নেমে পড়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর)-ই নীতিশ কুমারের সামনে তারা ফেলেছে নয়া প্রস্তাব।

এদিন আরজেডি-র বিশিষ্ট নেতা তথা বিহার বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকার উদয়নারায়ণ চৌধুরী জানান, সদ্য সমাপ্ত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে নীতিশ কুমার-এর উপর গেরুয়া শিবিরের তীব্র চাপ ছিল। নির্বাচনে জনতা দল ইউনাইটেডের থেকে  বিজেপি বড় দল হয়ে উঠেছে। নীতীশ কুমারের এখন রাজ্যের ভার তেজশ্বীর হাতে দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সরে যাওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত। জাতীয় প্ল্যাটফর্মে তিনি বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দিতে পারেন। জেডিইউ তেজশ্বী যাদবকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী করতে রাজি হলে, তাঁরা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নীতিশ কুমারের নাম প্রস্তাব করবে এবং তাঁকে সমর্থন করবে।

জনতা দল ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে অবশ্য আরজেডি-র এই প্রস্তাবের কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। দলের মুখপাত্র রাজীব রঞ্জন বলেছেন, এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে আরজেডি ফের প্রমাণ করে দিয়েছে যে, ক্ষমতা দখল করতে তারা কতদূর যেতে প্রস্তুত। আরজেডি ক্ষমতা দখল করতে কতটা মরিয়া। তিনি অবশ্য মেনে নেন, বিজেপি এবং জনতা দল ইউনাইটেডের মধ্যে কিছু মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। তবে তারপরও নীতীশ কুমারই আগামী ৫ বছর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। আরজেডি লোভ দেখালেও, জনতা দল ইউনাইটেড-কে সেই লোভের ফাঁদে ফেলা যাবে না বলে জানিয়েছেন।

মুখে জেডিইউ নেতা যাই বলুন না কেন, অরুণাচল প্রদেশের ওই ঘটনার বেশ বড় প্রভাব পড়েছে এনডিএ-র দুই সঙ্গীর সম্পর্কে, তা বলাই বাহুল্য। বিধায়কদের দলবদলের ২ দিন পরই জেডিইউ-এর জাতীয় কমিটির সভায় এই বিষয়ে উদ্বেগ এবং অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন নীতীশ কুমার, বলে জানা গিয়েছে। জনতা দল ইউনাইটেডের নতুন জাতীয় সভাপতি আরসিপি সিং-ও সরাসরি না বললেও এই বিষয়ে ঘুরিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, জেডিইউ কারোর পিঠে ছুরি মারে না, অন্য কারোরও সেই চেষ্টা করা উচিত না। জেডিইউ তার বন্ধুদের সঙ্গে প্রতারণা করে না এবং তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রও করে না।