সংক্ষিপ্ত
এই সব সরকারি কর্মচারী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একটি নারকো টেরোরিস্ট নেটওয়ার্কে কাজ করতেন। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তাকে সংবিধানের ৩১১ (২) (সি) অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে তাদের বরখাস্ত করেছেন।
জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে পাঁচ পুলিশ কর্মী এবং একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল ভারতীয় সেনা। এই পুলিশ সদস্য ও শিক্ষকরা মাদক ও নেশা বিক্রির মাধ্যমে জঙ্গিদের সহায়তা করছিলেন বলে অভিযোগ। জঙ্গিদের অর্থায়নের ঘটনায় তাদের ধরা পড়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে জানা গেছে, এই সব সরকারি কর্মচারী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একটি নারকো টেরোরিস্ট নেটওয়ার্কে কাজ করতেন। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা তাকে সংবিধানের ৩১১ (২) (সি) অনুচ্ছেদ ব্যবহার করে তাদের বরখাস্ত করেছেন।
মাদকের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল
জানা গিয়েছে তারা মাদক পাচারে সহায়তা করে এবং এর থেকে পাওয়া লাভের টাকা জঙ্গি কর্মকাণ্ডে ব্যয় করে। একজন কর্মকর্তার মতে, "পাঁচজন পুলিশ ও একজন শিক্ষকসহ ছয়জন সরকারি কর্মকর্তা মাদক বিক্রির মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থায়নে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।"
পাকিস্তানি জঙ্গিদের সাহায্যকারী এই কর্মচারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে হেড কনস্টেবল ফারুক আহমেদ শেখ, কনস্টেবল খালিদ হোসেন শাহ, কনস্টেবল রহমত শাহ, কনস্টেবল ইরশাদ আহমেদ চালকু, কনস্টেবল সাইফ দ্বীন ও সরকারি শিক্ষক নাজাম দীনের নাম উঠে এসেছে।
জেনে রাখা ভালো যে এই বিধানটি সরকারকে তদন্ত ছাড়াই কর্মচারীদের বরখাস্ত করার ক্ষমতা দেয় যদি রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল তার সন্তুষ্টির ভিত্তিতে এমন পদক্ষেপ নিতে পারেন। ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর থেকে প্রশাসন এই ভিত্তিতে ৭০ জন সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।