সংক্ষিপ্ত

জম্মু ও কাশ্মীরের গুলিমার্গে সেনা গাড়িতে জঙ্গি হামলায় পাঁচজন জওয়ান আহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘন্টা আগে গান্দেরবাল জেলায় একজন শ্রমিকের উপর গুলি চালানো হয়েছিল।

জম্মু ও কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হামলা। গুলিমার্গে সেনা গাড়িতে হামলায় পাঁচ জওয়ান আহত। এর কয়েক ঘন্টা আগে জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় একজন শ্রমিকের উপর জঙ্গিরা গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

উত্তর কাশ্মীরের গুলিমার্গের বোটাপাথর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে সেনা গাড়িতে জঙ্গিরা হামলা চালায় বলে জাতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় অন্তত পাঁচজন সেনা আহত হয়েছেন। জম্মু ও কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় একজন শ্রমিকের উপর জঙ্গিরা গুলি চালিয়ে আহত করার কয়েক ঘন্টা পর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ব্যক্তিকে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা প্রীতম সিং বলে চিহ্নিত করেছে বাহিনী।

৭২ ঘন্টায় দ্বিতীয় হামলা

জম্মু ও কাশ্মীরে তিন দিন আগে টানেল নির্মাণকারী শ্রমিকদের আবাসন শিবিরে জঙ্গিরা হামলা চালায়। এই ঘটনায় ছয়জন নির্মাণ শ্রমিক এবং একজন চিকিৎসক নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কাশ্মীরের নায়েদগামের বাসিন্দা ডাঃ শানওয়াজ, পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের বাসিন্দা গুরমিত সিং, শ্রমিকরা মহম্মদ হানিফ, ফাহিম নাসির, কালিম বিহারের বাসিন্দা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যান্য দুইজন হলেন মধ্যপ্রদেশের অনিল শুক্লা এবং জম্মুর শশী আবরোল। হামলার স্থানে INSAS রাইফেল ফেলে রেখে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।

এই ঘটনায় কাশ্মীরের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এই ঘটনাকে অভিবাসী শ্রমিকদের উপর ভয়াবহ এবং কাপুরুষোচিত হামলা বলে অভিহিত করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পে কাজ করা নিরীহ মানুষের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

 

 

গান্দেরবালে বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা অত্যন্ত নৃশংস। ৮ই অক্টোবর নির্বাচনে জয়লাভের পর আবদুল্লাহ শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পরেই এই হামলা চালানো হয়। পরের দিন কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় তেহরিক লাবায়েক ইয়া মুসলিম নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় বাহিনী। শ্রীনগর, গান্দেরবাল, বান্দিপোরা, কুলগাম, বুদগাম, অনন্তনাগ, পুলওয়ামা জেলায় এই অভিযান চালানো হয়। জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য তরুণদের নিয়োগে সক্রিয় তেহরিক লাবায়েক ইয়া মুসলিম (TLM)-এর নিয়োগ মডিউল নিষ্ক্রিয় করাই এই অভিযানের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ।