সংক্ষিপ্ত
জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ অবগত ছিল। নির্দিষ্ট ইনপুটের ভিত্তিতে, পুলিশের একটি যৌথ দল, সেনাবাহিনীর থ্রি আরআর এবং সিআরপিএফ একটি কর্ডন এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে।
শুক্রবার অর্থাৎ ৬ই মে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহালগাম উডসের বাটকুট এলাকার পূর্বে সিরচান টপে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে একজন অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের এক পুলিশ আধিকারিক বলেছেন, এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে জম্মু কাশ্মীর পুলিশ অবগত ছিল। নির্দিষ্ট ইনপুটের ভিত্তিতে, পুলিশের একটি যৌথ দল, সেনাবাহিনীর থ্রি আরআর এবং সিআরপিএফ একটি কর্ডন এবং অনুসন্ধান অভিযান শুরু করে।
পুলিশ আধিকারিক আরও যোগ করেছেন যে বাহিনীর যৌথ অনুসন্ধান দল সন্দেহভাজন স্থানে পৌঁছানোর সাথে সাথে জঙ্গিরা তাদের উপর গুলি চালায়। উপযুক্ত জবাব দেয় সেনাও। শুরু হয় এনকাউন্টার। আইজিপি কাশ্মীরও গুলি বিনিময়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, অনন্তনাগের বাটকুট পাহালগাম এলাকার পূর্বে সিরচান টপে (জঙ্গল এলাকা) এনকাউন্টার শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
এদিকে, আসন্ন অমরনাথ যাত্রাকে সামনে রেখে পহেলগামের পাহাড়গুলিতে নতুন করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সূত্র জানায় যে এলাকায় দুই থেকে চারজন জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অভিযান শেষ হলেই প্রকৃত সংখ্যা বলা যাবে। এদিকে চলতি বছরে অর্থাৎ ২০২২ সালে সেনার হাতে নিকেশ হয়েছে ৬২ জন জঙ্গি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে এই বছর এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু কাশ্মীরে মোট ৬২ জন জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে।
এই সমস্ত জঙ্গি নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারের সামনে খতম হয়েছে। কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর-জেনারেল বিজয় কুমার বলেছেন, এই ৬২ জন জঙ্গির মধ্যে ৩৯জন লস্কর-ই-তৈবার, ১৫ জন জইশ-ই-মহম্মদের, ৬জন হিজবুল মুজাহিদিনের এবং দুজন আল-বদরের।
আইজিপি বিজয় কুমার আরও বলেন, খতম হয়েছে যেসব জঙ্গি, তাদের মধ্যে ৪৭ জন স্থানীয় জঙ্গি ও ১৫ জন বহিরাগত। সাধারণ ও স্থানীয় কাশ্মীরিদের সহযোগিতা, টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স, ফোকাসড অপারেশনের জন্য ভারতীয় সেনার হাতে ক্রমশই খতম হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে জঙ্গিদের। চলতি বছরে এ পর্যন্ত নিহত ৬২ সন্ত্রাসীর মধ্যে, ৩২ জন নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে খতম হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে রয়েছে এলইটি, জেএম এবং হিজবুল মুজাহিদিন। গত কয়েক বছরে, বিশেষ করে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে, নিরাপত্তা বাহিনী উপত্যকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে এবং এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বেশিরভাগ শীর্ষ নেতৃত্বকে খতম করা সম্ভব হয়েছে, যা দেশের জন্য ব্যাপক সাফল্য বলেই মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন, রাজ্যে অমিত শাহ, হিঙ্গলগঞ্জে বিএসএফ-র ভাসমান আউটপোস্ট উদ্বোধন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর