সংক্ষিপ্ত
গত তিন দিনে, কাশ্মীরে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে দুজন সরপঞ্চকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, একজন শ্রীনগরে এবং অন্যটি কুলগামে।
শনিবার দক্ষিণ কাশ্মীরে (Shopian) একজন অফ-ডিউটি সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (off duty CRPF jawan) কর্মীকে খুন করা হয়। সেই খুনের ঘটনায় জড়িত এক জঙ্গিকে (terrorist) গ্রেপ্তার করা (arrested) হয়েছে। রবিবার এই তথ্য দিয়েছেন কাশ্মীর জোন পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। আইজিপি কাশ্মীর আরও বলেছেন যে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে অপরাধের সময় ব্যবহৃত ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে জঙ্গির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজয় কুমার বলেন, "আমরা সিআরপিএফ কর্মীদের খুনীকে গ্রেপ্তার করেছি। তার জবানবন্দীর ভিত্তিতে অপরাধের অস্ত্র (পিস্তল) উদ্ধার করা হয়েছে। ওই জঙ্গি অপরাধের সময় তার সাথে থাকা একজন ওজিডব্লিউকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লস্কর-ই-তইবা কমান্ডার আবিদ রমজান শেখের নির্দেশে এই জঙ্গি অপরাধ করা হয়েছিল।"
এর আগে, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ান জেলায় এক সিআরপিএফ জওয়ানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
শোপিয়ানের বাসিন্দা মুখতার আহমেদ দোহিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।
কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছে "জঙ্গিরা মুখতার আহমেদ দোহি নামের একজন সিআরপিএফ কর্মীর উপর গুলি চালায়। তিনি আহত হয়ে মারা যান এবং হাসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। আরও বিশদ বিবরণ অনুসরণ করা হবে।"
এদিকে, গত তিন দিনে, কাশ্মীরে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে দুজন সরপঞ্চকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, একজন শ্রীনগরে এবং অন্যটি কুলগামে। শনিবার বিকেলে শোপিয়ান জেলায় অন্য একজন সরপঞ্চের উপর গুলি চালানো হয়েছিল কিন্তু তিনি অক্ষত অবস্থায় পালাতে সক্ষম হন। সাধারণ মানুষকে নিশানা করে হামলা চালানোর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শুক্রবার রাতেই জঙ্গিদের হাতে খুন হন বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধান (Sarpanch)। আর তারপরই বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি কার্যকলাপের কথা জানতে পেরে প্রায় ৪ থেকে ৫ জায়গায় যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী (Security Forces) ও পুলিশ (Kashmir Police)। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয় অভিযান। আর তার জেরে জইশ-ই-মহম্মদ (Jaish-e-Mohammed) ও লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
শনিবার সকালে গান্দেরবালে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। তাতে লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি পুলওয়ামার চেওয়াকলানে শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই লড়াইয়ে জইশ-ই-মহম্মদের দুই জঙ্গি ও এক পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।