সংক্ষিপ্ত
- জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে নতুন কৌশল জঙ্গিদের
- কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামে আপেল ব্যবসায় বিঘ্ন ঘধটাতে চাইছে তারা
- সম্প্রতি বেশ কয়েকটি আপেল বাগান পুড়িয়ে দিয়েছে তারা
- বাসিন্দাদের আপেল বিক্রি বন্ধ করতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিকাশের মন্ত্রে মুড়ে ফেলতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। হাতে হাতে কাজ, অর্থনৈতিক উন্নতি হয়ে গেলে আর তাদের কিছু করার থাকবে না, তা ভালোমতোই বুঝতে পারেছে তারা। অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাপটে তাদের জঙ্গি কার্যকলারপও প্রায় রুদ্ধ। এই অবস্থায় কাশ্মীর উপত্যকার শান্তি বিঘ্নিত করতে নতুন কৌশল নিল সন্ত্রাসবাদীরা।
নয়া কৌশল - আপেল যুদ্ধ
কাশ্মীরের অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে রয়েছে আপেল ব্যবসার উপরে। এবার সেই আপেল ব্যবসাকেই নিশানা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গত ১২ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ানের এক আপেল বাগানে বেশ কিছু কাশ্মীরের বিখ্যাত গোল্ডেন আপেল গাছ পুড়িয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা। আর এতে অন্তত তিন-চার লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই বাগানের মালিক।
বিফলে ১৫-২০ বছরের পরিশ্রম
জঙ্গিদের ভয়ে তিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি। এমনকী এতবড় ক্ষতি হওয়ার পরও তিনি পুলিশে কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে জানিয়েছেন একেকটি আপেল গাছে ফল পেতে অন্তত ১৫ থেকে ২০ বছর সময় দিতে হয়। একেকটি গাছ থেকে প্রায় ২৫ কার্টন আপেল পাওয়া যায়। প্রতি কার্টনে থাকে ২০ কেজি করে আপেল। আর এরকমই সাতটি গাছ জঙ্গিরা পুড়িয়ে দিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
হুমকির মুখে আপেল ব্যবসা
তবে এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জানা গিয়েছে ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েকদিন পর থেকেই, কাশ্মীরের আপেল বাগানের মালিকদের আপেলের ব্যবসা বন্ধ রাখার হুমকি দিয়ে পুস্তিকা ছড়িয়েছে জঙ্গিরা। তারপরেও যাঁরা আপেল ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, হয় তাদের গাথছ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে অথবা কার্টনে থাকা কেজি কেজি আপেল জ্বালিয়ে দেওযা হচ্ছে। শুধু বাগান মালিকদেরই নয়, আপেল চাষের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্তরের কর্মীদেরও দেদার হুমকি দিচ্ছে জঙ্গিরা।
চিড়েচ্যাপ্টা গ্রামবাসীরা
এই অবস্থায় একেবারে চিড়েচ্যাপ্টা হওয়ার জোগার আপেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কাশ্মীরিদের। জঙ্গিরা যেমন ব্যবসা বন্ধের হুমকিস দিচ্ছেন, তেমনই এই জঙ্গিদের খুঁজতে মাঝে-মধ্যেই গ্রামবাসীদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গ্রামবাসীরা বলছেন সেনাদের হাতেও বন্দুক আছে, জঙ্গিদের হাতেও বন্দুক রয়েছে। কিন্তু তাঁদের নিজেদের রক্ষা করার কোনও উপায় নেই।