সংক্ষিপ্ত

  • গুগুল ম্যাপদেখে গাড়ি চালাচ্ছিলেন 
  • ভয়ঙ্কর পরিণতি হল এক ব্যক্তির 
  • নদীতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয় 
  • তথ্য আপডেট করা হয়নি বলেই বিপত্তি 

শাড়ি থেকে গাড়ি- নেটদুনিয়ার ওপরই বেশি আস্থা মানুষের। গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে অজানা রাস্তায় পাড়ি দেওয়ার জন্য চালক থেকে গাড়ির মালিক- অনেকের ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে গুগুল ম্যাপ। কিন্তু গুগুল ম্যাপের অলিতে গলিতে লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। আর সেই বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার মৃত্যুও। রাশিয়ার কয়েক দিন পরে একই ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্র। 

পুলিশ জানিয়েছে  মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি গুগুল ম্যাপের নেভিগেশন অনুসরণ করে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। পুনের কাছে কলসুবাই এলাকায় ট্রেকের জন্য যাচ্ছিলেন। আর যাওয়ার পথেই রাস্তা হারান গাড়ির চালক। তারপর অগত্যা গুগুল ম্যাপের ওপর ভরসা করেই এগিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু সেখানেই লুকিয়ে ছিল বিপদ। আকোল থাকার ইন্সপেক্টর  অভয় পারমার জানিয়েছিলে ওই এলাকায় একটি  ব্রিজ রয়েছে। সেটি বছরের আট মাস খোলা থাকে। বাকি সময়টা থাকে জলের তলায়। কারণ বর্ষার সময় বাঁধে জল ছেড়ে দেওয়া হয়। আর সেই সময় ব্রিজটিও ডুবে যায়। গুগুল ম্যামে ব্রিজের অস্ত্বিত্ব থাকল। তাঁর সেই কারণেই গাড়ি নিয়ে চালক অজান্তেই নদীতে ঝাঁপ দেন। গাড়িটিতে তিন জন ছিলেন- সতীশ গুলে, গুরু শেখ ও সমীর রাজুরকর। সতীশ সাঁতার জানত না। তাই রাতের অন্ধকারে গাড়িটি জলে পড়ে যায়ও তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দুজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। 


স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রায় প্রতিবছরই পাম্পালগাঁও বাঁধ থেকে বর্ষার সময় জল ছাড়া হয়। আর তারপর থেকে টানা চার মাস সংশ্লিষ্ট ব্রিজটি জলের তলায় থাকে। কিন্তু এই তথ্য গুগুল ম্যাপে আপডেট করা হয়নি। নদী নিয়ে কোনও সতর্ক বার্তাও দেয়নি গুগুল ম্যাপ। গাফিলতি ছিল প্রশাসনেরও। কারণ বর্তমান সময় ব্রিজটি যে নদীর জলের তলায় রয়েছে সে সম্পর্কে সেতুটির সামনে কোনও নোটিশ টাঙান হয়নি। বা আগে থেকে কোনও সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকায় তাঁরা সেতু ব্যবহার করেন না। কিন্তু পর্যটকরা সেতুর রাস্তাই ব্যবহার করে। 

চিন ও পাকিস্তান শক্তিশালী হুমকি দিচ্ছে, উত্তর সীমান্ত প্রসঙ্গে মন্তব্য সেনা প্রধানের ...

'৬০ জন কৃষকের মৃত্যু কি লজ্জার নয়', প্রশ্ন তুলে মোদী সরকারকে খোঁচা রাহুলের ...

তবে একটি বিষয় তদন্তকারীদের কাছে খটকা থেকেই যাচ্ছে। সেটি হল গুগুল ম্যাপ দেখে চালক গাড়ি চালাচ্ছিলন। তিনি নদীতে নেমেও ছিলেন। কিন্তু যখন জলের স্তর বেড়ে যাচ্ছিল তখন কেন তিনি গাড়ি থামাননি? তদন্তকারীদের অনুমান স্থানীয়দের কাছ থেকে রাস্তা সম্পর্কে কোনও তথ্য গ্রহণ করেননি চালক। একই সঙ্গে টোল দেওয়া এড়াতে গিয়েও চালক জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।