সংক্ষিপ্ত

  • পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে ভারতের প্রথম পুণ্যার্থীর একটি দল
  • এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে ভারতীয় দলটি পাকিস্তানের দিকে রওনা দিয়েছে
  • সম্পূর্ণ বিষয়টির ওপর নজর রাখছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী
  • কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন নভজোৎ সিং সিধু 

গুরু নানকের ৫৫০ তম জন্মদিবস উপলক্ষে পাকিস্তানের নানকানা সাহিবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ভারতের প্রথম পুণ্যার্থীর একটি দল।  কর্তারপুর করিডর চুক্তি অনুসারে  আজকেই সন্ধের সময় সমস্ত পুণ্যার্থীকে দেশে ফিরে আসতে হবে।  ভারতকে পুণ্যার্থীরা বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পাকিস্তানের নানাকানা সাহিবের উদ্দেশ রওনা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনার ওপর নজর রাখছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন। কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনে  পাকিস্তানের তরফে  নভজোৎ সিং সিধুকে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে নভজোৎ সিং সিধু সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। ৯ নভেম্বর কর্তারপুর করিডরের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হবে। 

 

২৪ অক্টোবর ভারত পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর চুক্তি স্বাক্ষরিত করে। পাকিস্তানের নারওয়াল জেলায় ভারত-পাক সীমান্তের কর্তারকপুর জিরো পয়েন্টে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই দরবার শরিফে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জীবনের শেষ ১৮ বছর অতিবাহিত করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী শিখ তীর্থযাত্রীরা সকালে এসে কর্তারপুরের দেরা বাবা নানকানা সাহিবের উদ্দেশে আসতে পারবেন। কিন্তু সকলকে সন্ধের সময় ফিরে যেতে হবে । পাকিস্তানের অভ্যন্তের চার কিলোমিটার যেতে শিখ তীর্থযাত্রীদের কোনও ভিসা লাগবে না।

জানা গিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান প্রতিদিন পাঁচ হাজার তীর্থযাত্রীকে কর্তারপুরে প্রবেশ করতে দেবে। তবে এই তীর্থযাত্রার জন্য শিখদের মাথাপিছু ২০ মার্কিন ডলার দিতে হবে। ভারতীয় মূল্যে ১৪০০ টাকা দিতে হবে।