পৃথিবীর জলবায়ু উষ্ণ হয়ে উঠছে নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী। অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস, জ্বালানি পোড়ানো, সমুদ্রের বরফ গলে যাওয়া এবং গাছ কাটার ফলে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে জলীয় বাষ্পের কারণে ফেব্রুয়ারিতেই কলকাতায় গরম বেড়েছে।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে গরম। প্রতিদিনই তাপমাত্রা গড়ছে রেকর্ড। আগে গরম কাল শুরু হত এপ্রিলের শেষ থেকে। আর এখন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকেই গরমে পুড়তে শুরু করেছে রাজ্যবাসী। এ গরম শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে গরম।
কেন বাড়ছে গরম-
বেশ কিছুদিন আগে নাসার দেওয়া তথ্য বলছে, পৃথিবীর জলবায়ু উষ্ণ হয়ে উঠেছে। তাদের দাবি জলবায়ু চট করে পরিবর্তন হয় না। তা ধীরে ধীরে হয়। নাসার এক রিপোর্ট দাবি করেছে,, বায়ুমণ্ডলে অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস পৃথিবীর জলবায়ুকে উষ্ণ করে তুলেছে। গ্রিন হাউস গ্যাস যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড এবং মিথেন।
বায়ুমণ্ডলে কিছু গ্রিন হাউস গ্যাস থাকা স্বাভাবিক। পৃথিবীতে প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য উষ্ণতা প্রয়োজন আছে। কিন্তু, অত্যাধিক গ্রিন হাউস গ্যাস অতিরিক্ত উষ্ণতা সৃষ্টি করে। কয়লা ও তেলের মতো জ্বালানি পোড়ানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এদিকে জল বেশি তাপ শোষণ করে। দেখা যায়, জল গরম করতে প্রচুর শক্তি খরচ হয়। মহাসাগরগুলো তাপ শোষণ করে উষ্ণ হয়। এই উষ্ণতার কারণে সমুদ্রের বরফ গলে যায়। নাসার আর্থ স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, প্রতি গ্রীষ্মে কিছু আটলান্টিক এলাকার বরফ গলে এবং বরফের আকার ছোট হয়। সেপ্টেম্বর মাসে সব থেকে বেশি ছোট হয়।
তেমনই গাছ কাটা আরও এক কারণ এই বিশ্ব উষ্ণায়ণের। গাছ না থাকলে ছায়া থাকে না। বাষ্পের পরিমাণ কমে উচ্চ তাপমাত্রা নিয়ে আসে। মানুষ গরম অনুভব করে ত্বক দিয়ে। গাছপালা যুক্ত এলাকায় থাকলে ত্বকে শীতর বোধ হয়।
ফেব্রুয়ারিতেই কেন গরম এল কলকাতায়?
এবছর ফেব্রুয়ারিতই গরম কলকাতায়। কদিন আগেই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক বাবিবুর রহমন বিশ্বাস বলেছিলেন, চলতি মাসে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে জলীয় বাষ্পের কারণে মূলত গরম বাড়বে। নূন্যতম আপেক্ষিক আর্দ্রতাও বেশ কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। অন্য এক আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক কদিন আগেই বলেছিল, উচ্চ পরিমণ্ডলে মেঘ থাকায় এবং জলীয় বাষ্পের জোগান না আসায় বৃষ্টি থেকে বঞ্চিত থাকছে সমতল। অর্থাৎ বলা চলে, এই দুই কারণে এবছর ফেব্রুয়ারিতেই মে মাসের আবহাওয়া অনুভব করছে শহরবাসী।
এর থেকে স্পষ্ট যে বিশ্ব উষ্ণায়ণের কারণেই পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতে এগিয়ে আসছে গরম। গ্রিন হাউস গ্যাসের বৃদ্ধি, গাছ কাটা এর ফলে বৃষ্টি না হওয়ার দরুন বাড়ছে গরম।
