সংক্ষিপ্ত
মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন যে ভারত ও চিনের মধ্যে এলএসির কাছে একটি নতুন পিএলএ পোস্ট ড্রাগনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক আগ্রাসনের আরেকটি উদ্বেগজনক লক্ষণ।
লাদাখের গালভান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনের সম্পর্ক অবনতির পথে যায়। ২০২০ সালের জুনে গালভান উপত্যকায় সংঘাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহিদ হয়েছিল এবং ৪০ জনেরও বেশি চীনা সেনা নিহত হয়েছিল। তারপর থেকে চিন তার সম্প্রসারণবাদী প্রচারকে আরও গতি দিয়েছে। এখন চিন প্যাংগং লেকে একটি নতুন সামরিক পোস্ট তৈরি করছে বলে রিপোর্ট সামনে এসেছে। আমেরিকান সাংসদ রাজা কৃষ্ণমূর্তি এটাকে খুবই উদ্বেগজনক বলেছেন।
মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি বলেছেন যে ভারত ও চিনের মধ্যে এলএসির কাছে একটি নতুন পিএলএ পোস্ট ড্রাগনের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক আগ্রাসনের আরেকটি উদ্বেগজনক লক্ষণ। তিনি আরও বলেন যে এটি ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে যৌথ আলোচনা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা বাড়ায়।
এমন নয় যে ভারতকে ভয় পেয়ে চিন এই প্রথম কোনো পোস্ট এলএসি বরাবর তৈরি করেছে। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর থেকেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। চিন ক্রমশই নিজেদের পরিকাঠামো নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর শক্তিশালী করে চলেছে। প্যাংগং হ্রদে সম্প্রতি নির্মিত সামরিক আউটপোস্ট ছাড়াও চিন এই হ্রদে দুটি সেতুও নির্মাণ করেছে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে চিন দীর্ঘমেয়াদী সামরিক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাংগং লেকের কাছে নির্মাণ কাজ করছে। বলা হচ্ছে প্যাংগং হ্রদে চিনের তৈরি নতুন সামরিক আউট পোস্ট LAC থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে।
LAC-তে চিন কী নির্মাণ করেছে?
অধিকৃত লাদাখে হাইওয়ে নির্মাণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে চীন। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, লাদাখে G695 হাইওয়ে তৈরি করতে চলেছে চিন। এটি সেই পয়েন্টের কাছে যাবে যেখানে ভারত ও চিনের সেনারা মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে চিন ক্রমাগত LAC-তে নির্মাণ কাজ করছে। এছাড়া অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়ও ক্রমাগত নির্মাণ কাজ করছে চিন।
খবরে বলা হয়েছে, চিন অধিকৃত লাদাখে এমনভাবে নির্মাণ কাজ করছে যাতে অল্প সময়ের মধ্যে সাঁজোয়া যান, সেনাবাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা অস্ত্র সরবরাহ করা যায়। তাদের এলএসির কাছাকাছি রাখার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। চিন প্যাংগং লেকের কাছে রাডারও স্থাপন করেছে। স্যাটেলাইট চিত্রগুলি প্যাংগং লেকের কাছে একটি গম্বুজের মতো কাঠামো দেখায় যা সাধারণত আবহাওয়ারোধী এবং রাডার অ্যান্টেনা রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
চিনের উদ্দেশ্য কী?
শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামরিক ফ্রন্টেও নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে চায় চীন। গালভানে ভারতের কাছে পরাজিত হওয়ার পর তাঁরা ক্ষুব্ধ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেও উত্তেজনা কমাতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে রাজি নয় বেজিং। বরঞ্চ তার কর্মকাণ্ড যুদ্ধের প্রস্তুতির মতো। ভারতের পক্ষে কথা না বলার জন্য আমেরিকাকেও হুমকি দিয়েছে চিন। সম্প্রতি এলএসি-র কাছে আউলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি যুদ্ধ মহড়া করেছে আমেরিকা। তা নিয়েও বিরক্ত চিন।