সংক্ষিপ্ত

নতুন যুগের ব্যবসায়িক মডেলের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ফলে সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে সুযোগ। 

২০১০ সাল থেকে ছবিটা পাল্টাচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার (Digital India) জন্য বিজনেস মডেল (digital industry) তৈরি হচ্ছে নতুন করে (New Business Model)। সমীক্ষা (Report) বলছে মূলত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) হাত ধরে নতুন ভারত (New India) গড়ার লক্ষ্যে এগোনো হচ্ছে। হাইপারলোকাল ডেলিভারিতে খাবার থেকে দৈনন্দিন সামগ্রী কেনা, অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো পরিষেবা গ্রহণের জন্য এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেই (tech-enabled businesses) বেছে নিয়েছে ভারত।

ডিজিটাল শিল্প কীভাবে বাড়ছে

১. সমীক্ষা বলছে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতি যেহেতু নতুন পথ খুঁজে পেয়েছে, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে ডিজিটাল শিল্পের বিনিয়োগে। 

২. নতুন যুগের ব্যবসায়িক মডেলের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ফলে সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে সুযোগ, যা দ্রুত ও সময়োপযোগী বলে মনে করছে বাজার। 

৩. ডিজিটাল শিল্পের কিছু নির্দিষ্ট উপাদান রয়েছে যা সুনির্দিষ্ট সাফল্য নিয়ে আসছে। ভারতের বাজারের ক্ষেত্রে তার বিশ্বায়ন ঘটছে দ্রুত। 

৪. বিশ্ব ব্যাপী দেশের ছোট ছোট শিল্পোদ্যোগীরা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে দেওয়া নেওয়ার সুযোগ বাড়ছে। বিশ্ব এখন একটা সামগ্রিক প্ল্যাটফর্ম। 

 

দেশের উপভোক্তাদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা প্রায় সফল। অনলাইন বিজনেসের ফলে উপভোক্তাদের ডিজিটালাইজেশন সম্ভব হয়েছে। অনেকটা বেড়েছে অনলাইন সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার হার। একইসঙ্গে বেড়েছে অনলাইন পরিষেবাগুলির সুযোগ সুবিধা ও পরিষেবা দেওয়ার গতি। এতে উৎসাহ পাচ্ছে প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপগুলি। 

ডিজিটাল শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ 

১. পরিণত স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম: ভারতের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম পরিণত হতে শুরু করেছে। বর্তমান ইউনিকর্নগুলি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে কাজ করছে। এতে লাভ পাচ্ছেন শিল্পোদ্যোগীরা। উদাহরণস্বরূপ ফ্লিপকার্টের প্রাক্তন কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠা করেছেন ২১৪টি কোম্পানি। রয়েছে  ৮টি ইউনিকর্ন। 

২. প্রাথমিক পর্যায়ে মূলধনের প্রাপ্যতা বৃদ্ধি: প্রাথমিক পর্যায়ে মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মূলধনের প্রাপ্যতা বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। 

৩. বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি- এতে বাজারের প্রসার ঘটেছে ও বিনিয়োগের লাভ মিলছে

বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ছে ভারতীয় প্রতিভার। তুলনায় খরচ অনেকটাই কম।ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিভা প্রথম ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্ব বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করে। আইটি পরিষেবা সংস্থাগুলির প্রতিষ্ঠা শুরু হয়ে। ২০০০ এর গোড়ার দিকে এই ট্রেন্ড ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিল বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে কর্মদক্ষতার প্রমাণে, যা বাকি বিশ্বের কাছ থেকে কদর আদায় করে নেয়। 

কেবলমাত্র স্টার্টআপ নয় সরকারি পিএলআই স্কিমেও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে। ইলেকট্রনিক্স হার্ডওয়ারের জন্য অনুমোদিত প্রস্তাবগুলি আগামী ৪ বছরে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রাও নিয়েছে। দুবছরের মধ্যে ইউনিকর্ন নম্বর দ্বিগুণের বেশি হয়েছে, যেখানে ২০১৯ সালে এর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৪, ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩।