সংক্ষিপ্ত
রবিবার দিল্লিতে পুরভোট। তাই নিয়ম মেনেই শুক্রবার শেষ বারের মতন প্রচার সারলেন কেজরিওয়ালের সেনাপ্রধানরা। নির্বাচনের আগেই সারা দিল্লি জুড়ে লাগু হলো বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক নির্দেশিকা।
সপ্তাহান্তেই আসন্ন দিল্লির পুরনির্বাচন।তার আগেই জোরকদমে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে আপ শিবির। রবিবার দিল্লিতে পুরভোট। তাই নিয়ম মেনেই শুক্রবার শেষ বারের মতন প্রচার সারলেন কেজরিওয়ালের সেনাপ্রধানরা। নির্বাচনের আগেই সারা দিল্লি জুড়ে লাগু হলো বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক নির্দেশিকা। শান্তি পূর্ণ ভোট করতে ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হলো মদ বিক্রি। সারা রাজধানী জুড়েই এখন প্রশাসনিক তৎপরতা।
সূত্রের খবর আসন অনুযায়ী ভোট কেন্দ্রে ইভিএম বসানোর কাজ শেষ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই । চলতি বছরের মে মাসে পুরপ্রশাসনের বদলের পর এই প্রথম দিল্লিতে হবে এমসিডি নির্বাচন।সীমানা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য এখন দিল্লির মোট ওয়ার্ড সংখ্যা কমে গেছে আগের চেয়ে। এবার ২৭২ টি আসনের বদলে আপ বনাম বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ২৫০ টি আসনে। যার মধ্যে ১০৪ টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে নারীদের জন্য। তফসিলি জাতিদের জন্য রাখা হয়েছে ৪২ টি আসন। এবং এসসি মহিলাদের জন্য রাখা হয়েছে মোট ২১ টি আসন।
৪ ঠা ডিসেম্বর একত্রে সব আসনেরই নির্বাচন সম্পূর্ণ হবে। সকাল ৮ তা থেকে শুরু করে বিকেল ৫.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ভোট প্রদান কেন্দ্রগুলি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গত ১৫ বছর ধরে দিল্লির এমসিডি দুর্গ বিজেপির দখলে। বিগত ১৫ বছর ধরে একছত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আসছে সেখানে বিজেপি। ২০১৭ র নির্বাচনে ২৭২ টির মধ্যে ১৮১ টি আসন পেয়ে এমসিডির মসনদ দখল করেছিল বিজেপি। আপ পেয়েছিলো মাত্র ৪৯ টি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিলো ৩১ টি আসন।
এই নির্বাচনেও খুব শক্ত লড়াই হবে আপ বনাম বিজেপির দাবি বিশেষজ্ঞমহলের। যদিও ২৫০ টি আসনের মধ্যে আপ ও বিজেপি ২৫০ টি প্রার্থী দিলেও কংগ্রেস মাত্র ২৪৭ টি আসনেই প্রার্থী দিতে পেরেছে। তবুও এমসিডি এবার কার দখলে যাবে তা জানতে উদগ্রীব জনতা। আগামী ৭ ই ডিসেম্বর ,আসন্ন নির্বাচনের ফলাফলের দিন জানা যাবে বিষয়টি ।