প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিরুবনন্তপুরমের চারবারের সাংসদ শশী থারুর সম্প্রতি কেরলের স্টার্ট-আপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। আর আগেই প্রধান বিরোধী পক্ষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কংগ্রেসের হাইপ্রোফাইল নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। যা কংগ্রেস নেতার দল বদলের জল্পনা আবারও উষ্কে দিয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে। যা কেরল কংগ্রেসের (Kerala Congress) ঐক্যের কথাই বলছে।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং তিরুবনন্তপুরমের চারবারের সাংসদ শশী থারুর সম্প্রতি কেরলের স্টার্ট-আপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যা কেরল রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যদিও থারুর জানিয়েছেন, তিনি সিপিএম-এর প্রশংসা করেননি। শুধুমাত্র স্টার্ট-আপ-এর প্রশংসা করেছেন। যা বাম আমলেই যথেষ্ট এগিয়ে গিয়েছে। শশীর মন্তব্য নিয়ে সিপিএম-এর প্রচার শুরু করেছে। যা কংগ্রেস মোটেও ভালভাবে নেয়নি।
শশী থারুরকে নিয়ে যথেষ্ট উত্তপ্ত কেরল রাজনীতি। শশীর দলবদলের জল্পনাও শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় রবিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। যেখানে কেরলের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে রয়েছেন শশী থারুরও। ক্যাপশনে রাহুল লিখেছেন, 'তারা এক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সামনের উদ্দেশ্যের আলোয় ঐক্যবদ্ধ' । রাহুলের এই পোস্ট ঘিরে নতুন চর্চা কেরলের রাজনীতিতে। অনেকেরই প্রশ্ন কেরল কংগ্রেসের সঙ্গে কি এবার শশীর দূরত্ব কমেছে? যদিও শশী থারুর এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। কেরল কংগ্রেসের কর্তাব্যক্তিরাও কোনও কিছু জানাননি।
এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘আমাদের হাইকমান্ডের কাছ থেকে আমরা স্পষ্ট ইঙ্গিত পেয়েছি যে কংগ্রেস কেরালার জনগণের সাথে আবেগগত এবং রাজনৈতিকভাবে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। মানুষ পরিবর্তন চাইছে, তাই আমাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যা কেরালার জনগণের প্রতি অসম্মানজনক। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল এবং যদি কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু বলে, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। কারণ কেরালার জনগণের প্রতি অসম্মান করার আমাদের কোনও অধিকার নেই’।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
