সংক্ষিপ্ত
- জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৪ জন রাজনৈতিক বন্দিকে হোটেল থেকে স্থানান্তিরত করা হল
- তাঁদের শ্রীনগরের এমএলএ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে
- হোটেলের অত্যাধিক বিলের জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
- তিন মাসে হোটেলে বিল হয়েছে ২.৬৫ কোটি টাকা
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর ৩০ জনের ওপর জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ডাল লেকের কাছে একটি হোটেলে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু হোটেলের বিল অত্যাধিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখান থেকে সরিয়ে তাঁদের সরকারি এমএলএ হস্টেলে বন্দি অবস্থায় রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হোটেলগুলোতে উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকার কারণে, গরম জল পাওয়ার অসুবিধার কারণে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাশ্মীরের শীর্ষস্থানীয় নেতারা প্রায় তিন মাস হোটেলে বন্দি রয়েছেন। এই তিন মাসে তাঁদের হোটেলের বিল হয়েছে ২.৬৫ কোটি টাকা। হোটেলের বিলের অঙ্ক দেখে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নভেম্বরের শুরুতেই তাঁরা রাজনৈতিক বন্দিদের অন্যত্র স্থানান্তিরত করার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়। সেই সময় তাঁরা কাশ্মীরে এমএলএ হস্টেলের পরিকল্পনাও করেছিল।
ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু ১০ জনের, আইন সংশোধনেও হচ্ছে না ফল
এর আগেই শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতিকে অন্যত্র স্থানান্তিরত করা হয়েছে। তাঁকে শুক্রবার এস্টেট বিভাগের একটি অতিথিশালায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা যায়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এই অতিথিশালা বৃষ্টি ও পরবর্তী প্রবল ঠান্ডা এবং কাশ্মীরের প্রবল তুষারপাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সমর্থ হবে।
কালাপানি থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে, ভারতকে হুমকি দিল নেপাল
মেহবুবা মুফতির মেয়ে বর্তমানে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, 'এখন রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এমএলএ হস্টেলে রাখা হয়েছে বন্দি অবস্থায়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এইভাবে অপমান করা হচ্ছে। কেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে? রাজ্যে এখন কেন্দ্রীয় শাসন চলছে। এখানকার পুলিশ যা ইচ্ছে তাই ব্যবহার করছে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে।'