সংক্ষিপ্ত
- ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক, হয়ে গেলেন ধনকুবের
- প্রাক্তন এই স্কুলশিক্ষক তৈরি করে ফেলেছেন শিক্ষাবিষয়ক এক বিশেষ অ্যাপ
- গত সাত বছরে প্রায় ছয় লক্ষ মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে
- চিনে নিন ভারতের নতুন এই ধনকুবেরকে
দেশের আগামী প্রজন্মের মধ্যে শিক্ষার আলো ফুটিয়ে তুলতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে সারা ভারতে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন। আর এবার এই শিক্ষার হাত ধরে ভারত পেল এক নতুন ধনকুবের। বাঈজু রবীন্দ্রণ নামে প্রাক্তন এই স্কুলশিক্ষক তৈরি করে ফেলেছেন শিক্ষাবিষয়ক এমনই এক বিশেষ অ্যাপ, যা গত সাত বছরে প্রায় ছয় লক্ষ মার্কিন ডলারের ব্যবসা করেছে।
বিশেষ ওই অ্যাপটির নাম হল বাঈজু'স অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে তিনি চলতি মাসেই তাঁর প্রাইভেট কোম্পানী 'থিংক অ্যান্ড লার্ন' প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করেছে। আর এরপরই ভারত পেয়েছে এক নতুন কোটিপতি। সূত্রের খবর শিক্ষাবিষয়ক তাঁর এই অ্যাপ ২০২০ সালের মধ্যেই ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে এই অ্যাপ পরিষেবা মার্কিন মুলুকেও ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
মাত্র ৩৭ বছর বয়সী এই ধনকুবেরের কথায়, বিনোদনের জন্য মাউস হাউস যেভাবে কাজ করছে ঠিক সেইভাবেই ভারতে শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি সঠিক দিশায় পৌঁছে দিতেই চান তিনি। আর সেইকারণেই দেশের সীমানার বেড়াজাল ছিঁড়ে নিজের এই সৃজনশীলতাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চান বাঈজু রবীন্দ্রণ। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে 'থিংক এন্ড লার্ন' নামে ওই সংস্থাটি শুরু করেছিলেন রবীন্দ্রণ। ২০১৫ সালে বাঈজু'স অ্যাপ নামে ওই অ্যাপ্লিকেশন চালু করেন তিনি । তবে এই ব্যবসা শুরুর আগে তিনি অনলাইনে পড়ানোর কাজ করতেন। ব্যবসা শুরুর হওয়ার পর তা থেকে আয় হয় ৩৫ মিলিয়ন, যার মধ্যে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন ওই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্ষিক ফি-এর মাধ্যমে আয় হয়েছে। এইভাবেই ২০১৯ সালের মার্চ মাসের এটি বিপুল লাভের মুখ দেখে তাঁর কোম্পানি। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী এবং ভাই ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্যও এই কোম্পানির অংশীদার।
কী চমক রয়েছে তাঁর এই বিশেষ অ্যাপে? জানা গিয়েছে, দ্য লায়নন কিংস-এর সিম্বা থেকে শুরু করে ফ্রোজেনের অ্যানাও থাকবে এই অ্যাপে, যাদের কাজ হবে গ্রেড ওয়ান থেকে গ্রেড থ্রি পর্যন্ত ক্ষুদেদের অঙ্ক ও ইংরেজি শিক্ষা দেবে। এর পাশাপাশি, এইসব বিখ্যাত চরিত্রগুলি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অ্যানিমেটেড ভিডিও, গেম, গল্প এবং ক্যুইজ-এর মাধ্যমে শিক্ষাদান করবে। রবীন্দ্রণের দাবি, ডিজনির সিম্বা অথবা মোয়ানা খুব সহজেই ছোটদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকে। তাই এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়েই ছোটদের পড়াশোনা করানোর কথা ভেবেছেন বলে জানান তিনি।