সংক্ষিপ্ত

রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার বাসিন্দা ছিলেন বিজয় কুমার। সম্প্রতি তাঁর বদলি হয়েছিল। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামের একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার যে সিসিটিভি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুলে বিজয় কুমারকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে এক জঙ্গি।

জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের দৌরাত্ম্য আবারও প্রশ্ন তুলে দিল হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে। গত তিন দিনের মধ্যে পরপর দুটি হত্যার ঘটনা ঘটল উপত্যকায়। এবার জঙ্গিরা ব্যাঙ্কে ঢুকে গুলি করে হত্যা করল এক ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে। এর আগেই জঙ্গিরা হত্যা করেছিলেন কাশ্মীরি পণ্ডিত এক শিক্ষিকাকে। 

রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার বাসিন্দা ছিলেন বিজয় কুমার। সম্প্রতি তাঁর বদলি হয়েছিল। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামের একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার যে সিসিটিভি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুলে বিজয় কুমারকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে এক জঙ্গি। রক্তাক্ত অবস্থায় বিজয় কুমারকে সেখানে ফেলেই সে চম্পট গেয়।  এই ঘটনার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বিজয় কুমারকে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। 

পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদীকে খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি চালান হচ্ছে। হামলার পিছনে কোন জঙ্গি সংগঠনের হাত ছিল তাও খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

মাত্র একদিন আগেই জঙ্গিদের গুলিতে রক্তার্ত হয়েছিল ভূস্বর্গ। কুলগামেরই একটি স্কুলের বাইরে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করেছিল রজনী বালা নামের এক স্কুল শিক্ষককে।  তিনি কাশ্মীরি পণ্ডিত ছিলেন। 

শোপিয়ান জেলার সংলগ্ন কুলগাম জেলায় হত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরপর দুটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ফারুক আহমাদ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে তাঁর বাড়ির ভিরতে ঢুকে আক্রমণ করে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় তিনি রীতিমত আহত হয়েছেন। অন্যিদিকে সেনা বাহিনীর গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। তাতে আহত হয়েছেন তিন ভারতীয় জওয়ান। সেনার তরফ থেকে জানান হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য তিন সেনাকর্মী একটি গাড়ি নিয়েছিবে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথেই তাদের টার্গেট করা হয়। বিস্ফোরণটি নাশকতার অঙ্গ নাকি গাড়ির ত্রুটির জন্য হয়েছে তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে প্রশাসন। 

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ব্য়াঙ্ক ম্যানেজার হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নিরাপত্তার বেহাল দশা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এলাকার বাসিন্দাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ এনডিএ সরকার। অন্যদিকে নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। তারা কেন্দ্রের পুনর্বাসনের নীতিগুলির সমালোচনা করতে শুরু করেছে।  তাদের অভিযোগ যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না।