সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর, শাহের দরবারে প্রেরিত চিঠিটি ইংরেজি ভাষায় লিখিত। অন্যদিকে আবার, সেটি টাইপ করা হয়েছে কম্পিউটারে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘খুনের হুমকি’ দিয়ে চিঠি পাঠানোর অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতা শহর থেকে। চিঠিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে দাবি করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এই টাকা না পেলে অমিত শাহকে খুনই করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন চিঠির লেখক। এমনকি, এও জানা গেছে যে, এই হুমকি চিঠি যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি বিজেপি দলেরই অন্যতম শীর্ষ নেতা। ‘হুমকি চিঠি’ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে।
সূত্রের খবর, শাহের দরবারে প্রেরিত চিঠিটি ইংরেজি ভাষায় লিখিত। অন্যদিকে আবার, সেটি টাইপ করা হয়েছে কম্পিউটারে। বিগত ডিসেম্বর মাসে কলকাতার লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘর থেকে স্পিড পোস্ট মারফত নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠিটি পাঠানো হয়। অমিত শাহের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘২০০ কোটি টাকা দিন। টাকা না পেলে আপনাকে খুন করা হবে। সেটার জন্য প্রস্তুত থাকুন।’ এই চিঠির বিষয় সরকারিভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে, চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়েছিল চিঠি পাওয়ার পর থেকেই।
এই ঘটনার তদন্তে চালিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সংস্থা জানতে পেরেছে যে, কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি এবং বিশপ পরিচয়ের অন্য আরেকজনের নাম করে এই হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা যখন এই দুই ব্যক্তি সাথে কথা বলেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, তখনই তাঁরা বুঝতে পেরেছেন যে, এই হুমকি চিঠির নেপথ্যে এই বিশপ বা সংখ্যালঘু ব্যক্তির কোনও যোগসাজেশ নেই। চিঠিটিকে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই এই দুই ব্যক্তির নাম জড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তাহলে কারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুন করার হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন? প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে রিপোর্ট পেশ করেছেন। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি বহুতলে বাড়িওয়ালা এবং ভাড়াটের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিবাদ রয়েছে। এই হুমকি চিঠির নেপথ্য কারণ এটাই বলে মনে করা হচ্ছে। বাড়িওয়ালা একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান ব্যক্তিকে ঘরভাড়া দিয়েছিলেন। ভাড়াটিয়া ব্যক্তি বছর কয়েক আগে আমেরিকায় চলে যান। অভিযোগ, দেশ ছাড়ার আগে তিনি নিজের ঘরে অন্য আরেকজনকে ঢুকিয়ে দিয়ে যান। এখান থেকেই বাড়িওয়ালার সঙ্গে দ্বিতীয় ভাড়াটের বিবাদ শুরু হয়। প্রচণ্ড রেগে যান বাড়িওয়ালা। দুই ভাড়াটেকে ‘শিক্ষা’ দিতেই দু’জনের নাম ব্যবহার করে অমিত শাহকে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। যাতে নাম জড়িয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা বিপাকে পড়ে যান, সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই চিঠি লেখা।
বারবার মিলিটারি ইন্টিলিজেন্স, এনআইএ, এসআইবি, এসটিএফের মতো তাবড় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়ে নাজেহাল হতে হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। যদিও সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে চিঠিটি পাঠানোর কোনও প্রমাণ মেলেনি।
আরও পড়ুন-
ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে কতক্ষণ বেঁচে থাকা যায়? তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করছেন বিশেষজ্ঞরা
বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যেতেই আলিপুরদুয়ারে শুভেন্দুর জনসভা, পরের দিনই কোচবিহারে অভিষেক
মাত্র ২টি উত্তরে পেনের কালি, উত্তর দেখেই সুপারিশ হওয়া চাকরিপ্রার্থীর খাতা ধরে ফেলতেন কুন্তল ঘোষ