সংক্ষিপ্ত
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়ায় ঘটনা নিয়ে তোড়াপাড় হয়েছিল রাজ্যে। একবার নয়, চালু হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই পরপর দুইবার এজাতীয় ঘটনা ঘটেছিল। প্রথমবার মালদায় , দ্বিতীয়বার নিউ জলপাইগুড়িতে। এই ঘটনায় আগেই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছিল রেলপুলিশ। এবার গ্রেফতার করা হল তিন নিবালককে। তবে এই রাজ্যের নয় , তিনজনই বিহারের বাসিন্দা।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশের যৌথ অভিযানে বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন নাবাললকে। আর্থাৎ শুক্রবার বিহারের কাটিহারের জুভেনাইল আদালতে তোলা হবে তিন ধৃতকে। কিষাণগঞ্জের এসডিপিও আনওয়ার জাভেদ জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চতুর্থজনকেও গ্রেফতার করা হবে। সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন এটি আইনত অপরাধ।
বিহার পুলিশ সূত্রের খবর, তিন জনই কিষাণগঞ্জের নির্মলা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খহর ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে, তারা মজার ছলেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়েছিল। অন্যদিকে রেল পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেন লক্ষ্য় করে পাথর ছোঁড়া বন্ধ করার জন্য একটি সচেতনা শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায় ওই এলাকায় ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। মাঝে মাঝেই দূরপাল্লার বা এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কের পরিবেষ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, ট্রেন পাথর ছোঁড়া হয়েছিল দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে হামলা হয়েছিল। আর্থার সেই সময় ট্রেনটি ছিল ধূলাবাড়ি ও মনাগুরজানের মধ্যে। এই এলাকায় বিহারে। পশ্চিমবঙ্গে নয়। তারপরই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নাবলককের সন্ধান শুরু হয়। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। পুলিশ জানিয়েছে স ঘটনার সময় চারজন উপস্থিত ছিল। বাকি এক জনের সন্ধান চলছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়ালি হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেছিলেন। রবিবার থেকেই যাত্রা শুরু হয় এই ট্রেনের। যাত্রা শুরুর মাত্র দুই দিনের মাথায় প্রকাশ্যে আসে ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে রীতমত বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও তৃণমূল। হামলার ঘটনায় বিজেপি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল ঘাসফুল শিরিবকে। তবে সিটিটিভির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি সুর নরম করে, পাল্টা সুর চড়ায় তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ
Twitter data leak: সলমন খান, বিরাট কোহলি-সহ ২০ কোটি টুইটার ব্যবহারকারী ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস
'গঙ্গা সাগর নিয়ে জিজ্ঞাসা করুন', বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোঁড়া নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে বললেন মমতা
DJ বাজানোর প্রতিবাদ, মালদায় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে