সংক্ষিপ্ত

  • ফের এক বাঙালি অর্থনীতিবিদ নোবেল জিতে নিলেন
  • ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন
  • ২০০৬ সালে আরেক বাঙালি অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস অবস্য নোবেল জিতেছিলেন শান্তি বিভাগে
  • বিশ্ব গরীবি নিয়ে কাজের জন্য অভিজিৎ-এর স্ত্রী এস্থের ডাফলোও ই বছর নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন

ফের এক বাঙালি অর্থনীতিবিদ নোবেল জিতে নিলেন। ১৯৯৮ সালে অমর্ত্য সেন, ২০০৬ সালে মহম্মদ ইউনুসের পর এই বছর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বিশ্ব গরীবি নিয়ে কাজের জন্য এইবছর তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল দেওয়া হয়েছে। অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়, ছাড়া নোবেল পেয়েছেন এস্থের ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার। এস্থের ডাফলো অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়েরই স্ত্রী।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যে নোবেল জয়ের পর বাঙালিতে প্রথম নোবেলের গর্ব এনে দিয়েছিলেন অমর্ত্য সেন। ১৯৯৮ সালে সেই নোবেল জয়ের পর ২০০৬ সালে ফের নোবেল পুরস্কার জিতে নেন আরেক বাঙালি অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুস। তাঁর কাজটা অর্থনীতি বিষয়ক হলেও, তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল শান্তির জন্য। এরপর আবার ১৩ বছর বাদে নোবেল মঞ্চে দেখা যাবে আরেক বাঙালি অর্থনীতিবিদ-কে।

কলকাতাতেই জন্ম হয়েছিল অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর। বর্তমানে তিনি ও তাঁর স্ত্রী এস্থের ডাফলো দুজনেই এমআইটি-তে কাজ করেন। সেখানে ফোর্ড ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল প্রফেসর অব ইকোনমিক্স-এর পদে আছেন অভিজিৎ। স্ত্রী এস্থের-এর সঙ্গে যৌথভাবে অভিজিৎ আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশন ল্যাব গঠন করেছেন।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তাঁদের কাজ গোটা পৃথিবীকে গরিবী-র মোকাবিলা করার বিষয়ে সহায়ক হয়েছে। মাত্র দুই দশকের মধ্যে যে উদ্ধাবনী উপায়ে তাঁরা গরিবী মোকাবিলার পথ দেখিয়েছেন, তাই বর্তমানে উন্নয়নশীল অর্থনীতি-কে বদলে দিয়েছে।