সংক্ষিপ্ত

  • শুক্রবার সন্ধ্যায় গভীর কুয়োয় পড়ে যায় দুই বছরের শিশু
  • শিশুটিকে উদ্ধারে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী
  • শিশুটিকে সুস্থভাবে উদ্ধারের প্রাথর্নায় দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত 
  • গভীর কুয়োর মধ্যে ক্রমাগত অক্সিজেন পাঠাচ্ছে উদ্ধার কর্মীরা 

তিরুচিরাপল্লির কাছে নাদাকাতুপুত্তিতে বাড়ির কাছে খেলছিল  একটা দুই বছরের শিশু। পা হড়কে শিশুটি ৬০০ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যায়। প্রথমে শিশুটি ৬০ ফুট নীচে এক জায়গায় আটকে ছিল বলে জানা যায়। কিন্তু উদ্ধার কাজ শুরু করার পর ৯০ ফুট নীচে চলে যায় শিশুটি। জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী শিশুটিকে উদ্ধার জন্য চেষ্টা শুরু করেছে। শুক্রবার সন্ধে থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  শিশুটি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, সেটা পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে শিশুটির চারিদিকে কার্দমাক্ত মাটি থাকার আশঙ্কা করছে উদ্ধারকর্মীরা। শিশুটির কাছে শনিবার থেকে টানা অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। 

দুই বছরের সুজিতকে যাতে সুস্থভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়,  তার জন্য প্রাথর্না করেছেন দক্ষিণের সুপারস্টার রজনীকান্ত। সাংবাদিকদের কাছে দীবপাবলিতে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তিনি সুজিতকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সুজিতকে উদ্ধারের জন্য অনেক যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপন চেষ্ট করছেন।

স্থানীয়  প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে,  শিশুটিকে উদ্ধার  করতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছয়টা দল কাজ করছে। আমরা অনেকক্ষণ ধরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছি। কিন্তু এখন আর শুনতে পাচ্ছি না। তবে মনে হচ্ছে শিশুটি ভালো ও সুস্থ রয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করতে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সাহায্য করেছে বলে জানা গিয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধার করতে অত্যাধুনিক মানের যন্ত্র আনা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।  রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী সি বিজয়াভাস্কর  শুক্রবার রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তিনি জানান, শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সমস্ত রকম চেষ্টা করা হবে। সারা রাজ্য জুড়ে শিশুটির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও পুজোও দেওয়া  হচ্ছে শিশুটির নামে।