সংক্ষিপ্ত

তিরুপতির মন্দিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু 
আক্রান্ত পুজারী ও কর্মচারীরা
মন্দির বন্ধ করতে নারাজ ট্রাস্টি বোর্ড
বোর্ডের বিরোধিতায় সম্মানীয় প্রধান পুরোহিত 

এখন ভক্তদের জন্য খোলা রয়েছে দরজা। নিত্যদিনই অগণতি মানুষ আসছেন। এখনই মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে বন্ধ ছিল তিরুপতি মন্দিরের দরজা। গত ১১ জুন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে মন্দির। তারপরই কয়েকজন পুজারী ও কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। তাপররেও মন্দিরটি দর্শনার্থীদের জন্য খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। 
 

তিরুপতি তিরুমালা মন্দিরে ১৪ জন পূজারী ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মন্দিরের কর্মচারীদের মধ্যে ১৪০ সংক্রমিত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। মন্দির চত্ত্বর সংকীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি অধিক মানুষের জমায়েত হয়। সেখান থেকেই করোনাভাইরাসের মত ছোঁয়াচে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। 

তিরুমালা তিরুপতি দেবাস্থানম (টিটিডি) প্রধান ইয়াইবি সুব্বা রেড্ডি জানিয়েছেন এখনই মন্দির বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। তাঁর কথায় এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখানে দেব দর্শনে আসা ভক্তরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তবে আক্রান্ত পূজারী ও মন্দিরের কর্মীদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের প্রয়োজনীয় খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন ইতিমধ্যেই ১৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি মন্দির চত্বরে সংক্রমণ ছড়়িয়ে পড়ের জন্য তিনি অন্ধ্র প্রদেশের পুলিশের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেছেন মন্দিরে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মী করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রণ। আক্রান্তদের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজন বলেও দাবি করেছেন রেড্ডি। 


তবে মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রমনা দীক্ষিতুলু পুজারী ও কর্মচারীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন ৫০ জনের মধ্যে ১৫ জনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে। এই অবস্থায় মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। যা খুবই উদ্বেগের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডির কাছেও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।  তাঁর অভিযোগ মন্দির কর্তৃপক্ষ পুজারীদের কথা শুছনে না। এভাবে চলতে থাকলে বিপদ অনিবার্য বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

 

প্রধান পুরোহিত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বার্তা দেওয়ার পরই মন্দির কর্তৃপক্ষ তাঁকে একহাত নিয়েছেন। রেড্ডি বলেছেন, দীক্ষিতুলুর উচিৎ ছিল ট্রাস্ট্রির কাছে এসে নিজের মতামত ব্যক্ত করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি উত্থাপন করা ঠিক নয়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ২০১৮ সালে মন্দিরের প্রধানপুরোহিতের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন তিনি। তারপর ২০১৯ সালে ওয়াইআরএস কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই দীক্ষিতুলুকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে।