সংক্ষিপ্ত
আগরতলা পুরনিগমে মোট ৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সব আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর ঘোষিত ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন মহিলা প্রার্থী।
আগরতলা পুরনির্বাচনে (Agartala Municipal Corporation Election) লড়াই করার কথা আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। আর সেই মতোই এবার পুরনির্বাচনের সব আসনেই প্রার্থী (TMC Candidate) ঘোষণা করল তারা। ২৫ নভেম্বর সেখানে পুরনির্বাচন। আর তার আগে আজ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল তৃণমূল। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৫ জন মহিলা (Woman)। প্রার্থী হয়েছেন সুদীপ রায় বর্মণ ঘনিষ্ঠ নেতাও। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আগরতলা পুরনিগমে মোট ৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সব আসনেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আর ঘোষিত ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জন মহিলা প্রার্থী (Woman Candidate)। পুরনির্বাচনে মহিলা ভোটারদের উপরই ভরসা রাখতে চাইছে জোড়াফুল শিবির। আর সেই কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনী (Election) ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সুস্মিতা দেব ও সুবল ভৌমিকরা।
২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরনির্বাচন। এবার প্রথমবার সেই নির্বাচনে লড়াই করছে তৃণমূল। আর বুধবারই পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রতিশ্রুতি মতো ৫১টি আসনেই তারা প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৫টি আসনেই রয়েছেন মহিলা প্রার্থী।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের (Third Time in Power) জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর এই ভোটের আগে মহিলা ভোটব্যাঙ্কের উপরই বেশি টার্গেট করা হয়েছিল। তাঁদের জন্য আনা হয়েছিল একাধিক প্রকল্প। যা দিয়ে বেশ লাভাবান হয়েছেন মহিলারা। আর এবার সেই সব প্রকল্পই ত্রিপুরায় (Tripura) চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। পাশাপাশি তালিকায় এত সংখ্যক মহিলা প্রার্থী রেখে তারা মহিলা ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টাই করল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন- ভূত চতুর্দশী তেনাদের ছাড়া কি হয়, সন্ধেতেই দেখা মিলবে তাদের
এছাড়া এই পুরনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা বাবলু চক্রবর্তী। ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা সুধীর রায় বর্মণ ঘনিষ্ঠ শ্যামল পালও প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর পান্না ঘোষকেও টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সেখানে জয়ের বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী সব প্রার্থীই।
আরও পড়ুন- দিওয়ালির আগে সুখবর, অবশেষে হু-এর ছাড়পত্র পেল কোভ্যাক্সিন
বেশ কয়েকমাস ধরেই আগরতলা পুরনির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল তৃণমূল। গত কয়েক মাসে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকে একাধিকবার ওই রাজ্যে যেতে দেখা গিয়েছে। সেখানে নিজেদের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁরা। নিয়মিত সে রাজ্যের মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। বারবার হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের। কিন্তু, তা সত্ত্বেও হার না মেনে লড়াই জারি রেখেছেন।
তবে এতদিন সেখানে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। কারণ এক্ষেত্রে তাদের দাবি ছিল, আগে থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলে সেখানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হবে প্রার্থীদের। যাতে কেউ মনোনয়ন জনা দিতে না পারে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা করত তারা। তাই তাঁরা এতদিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি। নির্বাচনের আগে হাতে আর খুব বেশি সময় নেই। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা। সেই কারণেই এতদিন পর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। আর এই পুরনির্বাচনের মাধ্যমে সেখানে নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। সেখানে যে তাদের তুরুপের তাস মহিলা প্রার্থীরা, তা বলাইবাহুল্য।