সংক্ষিপ্ত
- উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে পারলেন না তৃণমূল সাংসদ, নেতারা
- দীনেশ ত্রিবেদীর নেতৃত্বে লখনৌ পৌঁছয় প্রতিনিধি দল
- নাগরিত্ব আইনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাধিক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু
- নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূল নেতারা
লখনৌ পর্যন্ত পৌঁছলেও প্রত্যাশিতভাবেই উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে দেওয়া হল না তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। লখনৌ-তে পুলিশের গুলিতে একাধিক বিক্ষোভাকারীর মৃত্যুর প্রতিবাদে এ দিন তিন তৃণমূল সাংসদ- সহ চারজনের প্রতিনিধি দল লখনৌ-তে পৌঁছয়। কিন্তু বিমানবন্দরেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য আগেই জানিয়েছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সে রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমূল হক, আবির বিশ্বাস এবং লোকসভার সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল।
সংবাদসংস্থাকে নাদিমূল হক জানান, 'আমাদের লখনৌ বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছে। বিমান থেকে নামামাত্রই আমাদের পুলিশ ঘিরে নেয়। এর পরেই আমাদের একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় নিয়ে আসা হয়। আমরা এখন বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারের সামনে ধরনায় বসেছি।'
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত এগারোজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদেই এ দিন উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। লক্ষ্য ছিল নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করা। তৃণমূল নেতা এবং সাংসদদের আটকানো হলেও এ দিন অবশ্য বিজনোরে দুই নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।
তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে আটকানোর ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতায় বলেন, 'অসমে আমাদের প্রতিনিধি দলকে আটকেছিল। এখানেও আটকেছে। এরা সত্যিটাকে জানতে দেয় না। এরা যে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক উপায়ে বিশ্বাস করে এবং হিংসার আশ্রয় নেয়, তা এদের আচরণ থেকেই স্পষ্ট।'