সংক্ষিপ্ত
এভি গোপীনাথ, পালাক্কাদের আলাথুর থেকে বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য। প্রায় ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসের সাথে যুক্ত থাকার পর কয়েক মাস আগে এই প্রবীণ নেতা কংগ্রেসকে বিদায় জানান।
কেরলে(Kerala) নিজেদের তৃতীয় ফ্রন্ট(third front) হিসেবে তুলে ধরতে চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস(Trinamool Congress)। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তৃণমূল। এমনই একজন নেতা হলেন এভি গোপীনাথ(AV Gopinath), পালাক্কাদের আলাথুর (Alathur in Palakkad) থেকে বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য। প্রায় ৫০ বছর ধরে কংগ্রেসের সাথে যুক্ত থাকার পর কয়েক মাস আগে এই প্রবীণ নেতা কংগ্রেসকে বিদায় জানান। কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির এই প্রাক্তন সদস্যের নিজের কথায়, তাঁর দল ছাড়ার সিদ্ধান্তে কেরলে কংগ্রেস বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে।
তবে কংগ্রেস ছাড়ার পর তাঁর রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির অভিমুখ কি হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দলে যোগদানের আহ্বান জানানো হলে এশিয়ানেট নিউজকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। তিনি বলেন কোনও ব্যক্তির নেতৃত্বে থেকে কাজ করবেন না তিনি। তিনি সামান্য রাজনৈতিক কর্মী, কংগ্রেসের নীতি তাঁর পছন্দের। কিন্তু রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব পছন্দ নয়।
তবে কোনও রাস্তায় হাঁটবেন তিনি এখনও না জানালেও, নিজের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান গোপীনাথ। তবে তৃণমূলের তরফ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান। গোপীনাথের দাবি কংগ্রেস এখন নানা দলে বিভক্ত, কোথাও কারোর মধ্যে কোনও সমন্বয় নেই। তবে এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে উঠে আসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। কেরলে তৃতীয় ফ্রন্ট হিসেবে উঠে আসার ৮০ শতাংশ সম্ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের।
গোপীনাথের মতে কেরলে মানুষ এখন কংগ্রেস বিরোধী ও কমিউনিস্ট বিরোধী। তাঁরা বিকল্প খুঁজছেন। তৃণমূল সেই বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। কেরল কংগ্রেস একটি 'বিগ জিরো'। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখে পড়বে। এখানে মূল সমস্যা গ্রুপিজম বলে মত গোপীনাথের। এ, বি, সি-র মতো দলে বিভক্ত হলেও এখানে কংগ্রেস নেই। প্রকৃত কংগ্রেস কর্মীরা আড়ালে রয়েছেন। তারা কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগে জড়িত নয়।
উল্লেখ্য, যে সব নেতারা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসের নেতা ও বিধায়ক মণি সি কাপ্পান, বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা এ ভি গোপীনাথ। সূত্রের খবর কাপ্পান ও গোপীনাথ দুজনেই তৃণমূলের তরফ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এঁদের হাত ধরেই কেরলে খাতা খুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা এদের কাছে আমন্ত্রণ নিয়ে গিয়েছেন বলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।