মহুয়া মৈত্র তাঁর আবেদনে বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারে এই সিদ্ধান্ত সিবিআই ও ইডিরর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে আক্রমণ করে।

সিবিআই ও ইডি-র (CBI. ED) প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়াতে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। আবেদনে তৃণমূল সাংসদের জাবিয়েছেন এই মেয়াদ বৃদ্ধি তদন্তের নিরপেক্ষতার উপর আক্রমণ। তিনি যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েও জানিয়েছেন মহুয়া মৈত্র। পাশাপাশি তিনি বলেছেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থীও বটে। 

গত ১৪ নভেম্বর সিবিআই ও ইডি-র ডিকেক্টরদের মেয়ার ২ বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট (১৯৪৬) ও সেন্ট্রাস ভিডিল্যান্স কমিশন্ট অ্যাক্ট (২০০৩) অনুযাযী কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদের মেয়াদ ২ বছর বাড়ান হয়েছিল। তাই সেই আইন সংশোধনের জন্য নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। 

Scroll to load tweet…

মহুয়া মৈত্র তাঁর আবেদনে বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারে এই সিদ্ধান্ত সিবিআই ও ইডিরর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতাকে আক্রমণ করে। কেন্দ্র সরকারের পছন্দের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কাজের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্য সেই পরিচালকদের বাছাই ও বেছে নেওয়ার নিরঙ্কুশ বিচক্ষণতা দেয়। তিনি আরও বলেথেন অ্যাধাদেশগুলির জনস্বার্থেই জারি করা হয়েছে এই কথা বললেও কেন্দ্রীয় সরকার আসলে সিবিআই ও ইডির প্রধানদের কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। 

চ্যালেঞ্জ পিটিশনে আরও বলা হয়েছে অধ্যাদেশগুলি সংবিধানে সমতা ও জীবনের অধিকারের অধীনে সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের নীতি লঙ্ঘন করে। তাঁর আবেদনে কেন্দ্রের অধ্যাদেশের সাংবিধানিক বৈধতাকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। আবেদনেই বলা হয়েছে কেন্দ্রের এই অধ্যাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। 

গত বছর ইডির ডিরেক্টর সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আর বাড়ানো যাবে না। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ তারপরেও সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অমান্য করে অধ্যাদেশ জারি করে প্রধানদের মেয়াদ বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।