সংক্ষিপ্ত
- নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের আর্জি
- সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ
- দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে
- নয়া আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক মমতার
নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তাল হল বাংলাও। শুক্রবার দিনভর বিক্ষোভ চলল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এবার নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা CAB-এর বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছিলেন কংগ্রেস-সহ সমস্ত বিরোধী দলের সাংসদরাই। শেষপর্যন্ত অবশ্য লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্টতার জোরে বিলটি পাস করিয়ে নেয় সরকারপক্ষ। তবে রাজ্যসভায় বিলটি পাস করানো সহজ হবে না, অন্তত তেমনটাই মনে করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, রাজ্যসভায় বিল পাস করানোর মতো পর্যাপ্ত সংখ্যায় সাংসদ নেই এনডিএ-এর। কিন্তু তেমনটা হল কই! বুধবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হয়ে যায় রাজ্যসভায়ও। বস্তত, বৃহস্পতিবার বিলটি স্বাক্ষরও করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অর্থাৎ নাগরিক সংশোধনী বিল বা CAB এখন আইনে পরিণত হয়েছে। এদিকে আবার সময় যত গড়়াচ্ছে, নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনও তত জোরদার হচ্ছে। অসম, মেঘালয়ের পর এবার বিক্ষোভের আঁচ বাংলাতেও। এই যখন পরিস্থিতি, তখন নয়া আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির দ্রুত শুনানি আর্জি জানান। সেই আর্জি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তৃণমূল সাংসদে আগে মনিটরিং অফিসারের কাছে আর্জি জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু নয়া নাগরিকত্ব আইনে ঠিক কী বলা হয়েছে? এই আইন অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্থান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অমুসলিম সম্প্রদায়ের যেসব মানুষ ভারতে এসেছেন, তাঁদের আর বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করা হবে না। বরং শরণার্থী হিসেবে এদেশের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।