সংক্ষিপ্ত

রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করা বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকেই নিশানা করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন সাংসদ তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

 

তৃণমূল কংগ্রেস যখন কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে তখন আরও একবার দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ঘুর পথে হলেও পাশে দাঁড়ালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তিনি বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবেকে জাল সার্টিফিকেট নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন। বিজেপি এই সাংসদই সংসদে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। দেশকে বিদেশের মাটিতে অপমান করার অভিযোগ তুলে রাহুলকে বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশকান্ত দুবে। সেই নিশাকান্তের পিএইচডি ও এমবিএ ডিগ্রি জাল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

মহুয়া মৈত্র পরপর তিনটি টুইট করেন। তিনি বলেন , ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লোকসভায় জমা দেওয়া হলফনামায় নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ-এর সার্টিফিকেট কোর্স করেছেন বলে দাবি করা হয়েছিল। ২০১৯ সালেের আগে শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্পূর্ণ তালিকা তালিকাভুক্ত করা প্রয়োজন ছিল।

পরের টুইটে মহুয়া মৈত্র বলেন, ২৭. ০৮. ২০২০ এই সময় দিল্লি ইউনিভার্সিটি একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্পষ্টভাবে বলেছে মাননীয় সদস্যের নামের সঙ্গে মেলে যায় এমন কোনও প্রার্থী সেই সময় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্স করেনি। তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য দিয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।

তৃতীয় টুইটে মহুয়া মৈত্র বলেন, মাননীয় সদস্য ২০১৯ সালের হলফনামায় এমবিএ নিয়ে কোনও উল্লেখ করেননি। তিনি বসেছেন ২০১৮ সালে রাজস্থানের প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যানেজমেন্টের ওপর পিএইচডি করছেন। তবে টুইটে মহুয়া মৈত্র মনে করিয়ে দিয়েছেন বৈধ মাস্টার ডিগ্রি না থাকলে কোনও ব্যক্তি ইউজিসির অধীনে পিএইচডি করতে পারে না।

এখানেই শেষ নয় মহুয়া মৈত্র আরও বলেছেন, যারা কাচের ঘরে তাদের অবশ্যই পাথর ছুঁড়ে মারা উচিৎ নয়। কিন্তু যাদের ডাল ডিগ্রি রয়েছে , যারা হলফনামায় মিথ্যা কথা বলেন তাদের অবশ্যই নিয়ম করে বইপত্র ছুঁড়ে ফেলা ঠিক নয়। তৃণমূল সূত্রের খবর তারা নিশিকান্ত দুবের আসল ডিগ্রি দেখতে চেয়ে সাংসদে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল। কিন্তু তার কোনও উত্তর সাংসদ দেননি।

যাইহোক মহুয়ার এই টুইট নিয়ে রীতিমত উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। তবে গতকালই তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে সমদূরত্ব বজায় রাখার কথা বলেছিলেন। তারপরই মহুয়ার বিজেপি সাংসদকে আক্রমণ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ রাহুল গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়েই ২০০৮ সালে বিদেশি ব্যাঙ্কের বড় চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরেছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেই সময় তিনি আম আদমি কা সিপাহী কর্মসূচিতেও সামিল হয়েছিলেন।

যাইহোক নিশিকান্ত দুবের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি আরও বেশি কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু ফৌজদারী অভিযোগও রয়েছে। ট্র্যাফিক কন্ট্রোলরুমে ঢুকে পড়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও এফআইআর করেছিল।