সংক্ষিপ্ত
গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে দাচিগাম জঙ্গলে যৌথভাবে অভিযান চালায় অওয়ান্তিপোরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আগে থেকেই সেখানে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা।
সাত সকালে গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা। গুলির লড়াই চলাকালীন দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। এই এনকাউন্টারে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতা ল্যাম্বো খতম হয়েছে। তবে আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এলাকায় এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান।
গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে দাচিগাম জঙ্গলে যৌথভাবে অভিযান চালায় অওয়ান্তিপোরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী। আগে থেকেই সেখানে লুকিয়ে ছিল জঙ্গিরা। কিছুটা গভীর জঙ্গলে প্রবেশের পরই বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাবাহিনী। শুরু হয় গুলির লড়াই। আর সেখানেই খতম করা হয় দুই জঙ্গিকে।
আরও পড়ুন- 'মিশন ত্রিপুরা'র লক্ষ্য়ে পাড়ি দেবাংশুর, 'রাজনীতিতে অজাত শত্রু হয় না', কেন বললেন সুখেন্দু
কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছে জইশের শীর্ষস্থানীয় এক নেতাকে। যার নাম ল্যাম্বো ওরফে আদনান ওরফে মহম্মদ ইসমাল আলভি। পুলওয়ামা হামলায় যে ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন সেই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিল ল্যাম্বো। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তানে। জইশের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজারের ঘনিষ্ঠ ছিল সে। এনআইএ-র চার্জশিটে তার নাম ছিল। ফলে তাকে খতম করা সেনাবাহিনীর কাছে একটা বিশাল সাফল্য।
তবে এই এনকাউন্টারে খতম হওয়া অন্য জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তাও জানা সম্ভব হয়নি।
গতকালই কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, স্বাধীনতা দিবস ও তার আগেই জম্মুর বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। তার লক্ষ্য রয়েছে জম্মুর একাধিক মন্দির। আর সেই কারণে বিভিন্ন জায়গায় কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ বড় কোনও নাশকতার ছক কষছে। আর তার আগে এই দুই জঙ্গিকে খতম করল সেনাবাহিনী।