সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানের সংকট মোকাবিলায় ভারতই ভরসা। রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মরিয়া হয়ে ভারতে ছুটে আসার ঘটনা অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে কি নীতি হওয়া উচিত, সেই সিদ্ধান্ত নিতে পথ দেখাচ্ছে ভারত (India)। আফগানিস্তানের সংকট মোকাবিলায় তাই ভারতই ভরসা। রাশিয়া (Russia) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) মরিয়া হয়ে ভারতে ছুটে আসার ঘটনা অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৭ই সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সচিব (Secretary of the Security Council of Russia) জেনারেল নিকোলাই পাতরুশেভ (Gen Nikolay Patrushev)।
বুধবার পাতরুশভ বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের (NSA Ajit Doval) সঙ্গে। বুধবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ বা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি প্রধান উইলিয়াম বার্নস দোভালের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে বসেন। এই দুই বৈঠকেই নয়াদিল্লি আফগান্সিতানে চলা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। পাশাপাশি, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সাহায্যে পাকিস্তান যে সীমান্তে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে পারে, সেই আশঙ্কার কথাও তুলে ধরেছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে পাতরুশেভের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪শে অগাষ্ট এই বিষয়ে কথা বলেন। দুই দেশের একজোট হয়ে আফগানিস্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। তবে যেভাবে তালিবানরা নিজেদের ক্ষমতা আফগান সীমান্তের বাইরেও প্রকাশ করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাতে উদ্বিগ্ন রাশিয়া ও ওয়াশিংটন।
আমেরিকা ও রাশিয়ার কাছে উদ্বেগের বিষয় পুরোনো তালিবান নেতাদের সামনে রেখে আফগানিস্তানে সরকার গঠন। তালিবানরা মুখে যতই উদারতা দেখাক, কাজে তার প্রকাশ ঘটছে না। ফলে নয়াদিল্লি, মস্কো ও ওয়াশিংটনের সাথে একযোগে আফগাননীতি তৈরি করতে চাইছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এই বৈঠকগুলিতে উঠে এসেছে আফগানিস্তান থেকে মাদক চোরাচালানের দিকটিও।
ভারত সফর করার আগে রাশিয়ান প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন আফগানিস্তানে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার "যথেষ্ট সুযোগ" রয়েছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে দুই দেশই একে অপরের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আফগানিস্তানের ব্যাপারে রাশিয়া ও ভারতের মতের সার্বিক অবস্থানে খুব বেশি পার্থক্য নেই। তালিবান শাসনের গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করবে এই দুই দেশের সিদ্ধান্ত।