সংক্ষিপ্ত

  • দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষক আন্দোলন
  • ট্রাক্টর মিছিল ঘরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে রাজধানী
  • ঘটনায় ৮৬ জন পুলিস কর্মী আহত হয়েছে
  • মৃত্যু হয়েছে এক আন্দোলনকারী কৃষকেরও
     

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনও কৃষক আন্দোলনের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রাজধানী। কৃষকদের আন্দোলনের ধরনও এদিন প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিল করে কৃষকরা। মিছিলের রোড ম্যাপ আগে থেকেই স্থির করে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করেই আন্দোলন হিংসাত্বক চেহারা নেয়। পুলিস ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের পাশাপাশি লাল কেল্লায় জাতীয় পতাকার অবমাননা নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

মঙ্গলবার কৃষকরা ট্র্যাক্টর নিয়ে জোর করে এগোতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। অভিযোগ, পাল্টা কৃষকরাও মারমুখী হয়ে ওঠে। দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনের মাঝে খোলা তরোয়ারি নিয়েও দেখা যায় অনেককে। অভিযোগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে আন্দোলনকারী কৃষকদের হামলায় মোট ৮৬ জন পুলিস কর্মী আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের আঘাত গুরুতর। আহত পুলিস কর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক পুলিস আধিকারিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার কৃষক আন্দোলনের ফলে প্রচুর পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৩০০টি ব্যারিকেড ভাঙেন আন্দোলনকারীরা। ১৭টি সরকারি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আটটি ডিটিসি-র বাসে ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে প্রসাসন। রাতেই প্রসাসনিক আধিকারিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীর বুকে মোতায়েন করা হচ্ছে আরও বেশি আধাসামরিক বাহিনী।

অপরদিকে, মঙ্গলবার পুলিসের গুলিতে এক এক আন্দোলনকারী কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে,  দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে ঢোকার মুখে মিছিল আটকানো হয়। সেই সময় পুলিসে সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ চলাকালীন ট্রাক্টর উল্টে মৃত্যু হয়েছে ওই কৃষকের। যদিও আন্দোলকারীদের দাবি, পুলিসের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ফলে একদিকে ৮৬ জন আহত পুলিস ও অরপদিকে এক কৃষকের মৃ্ত্যু ঘিরে কৃষক আন্দোলনকে আঁচ কমা তো দুরস্থ প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই আগুনে আরও ঘৃতাহুতি হয়েছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।