সংক্ষিপ্ত

  • ভারতে ফের দৈনিক সংক্রমণ ৬৫ হাজারের বেশি
  • মৃতের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়িয়ে গেল
  • স্বাধীনতা দিবসে দেশবাসীকে আশার বাণী প্রধানমন্ত্রীর
  • দেশে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৈরি হচ্ছে ৩টি ভ্যাকসিন

করোনা আবহের মাঝেই দেশের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস পালন হচ্ছে।  তবে এরমধ্যেই আশঙ্কাজনক করোনা পরিস্থিতির ছবি ধরা পড়ল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন এদেশে ৬৫,০০২ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৫ লক্ষ ২৬ হাজার ১৯৩। 

 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯৯৬ জনের। যার ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৯ হাজার ৩৬ জন।

কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ স্তরের ফের থাবা বসিয়েছে করোনা। এবার করোনা আক্রান্ত হলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লভ আগরওয়াল।  নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রের শীর্ষ আমলা। তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় চিকিৎসকদের পরামর্শে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন লভ আগরওয়াল।

 

 

ট্যুইটারে লভ আগরওয়াল লিখেছেন, 'সবাইকে জানাতে চাই যে আমার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে এবং গাইডলাইন মেনে হোম আইসোলেশনে রয়েছি। আমার সব বন্ধু ও সহকর্মীদের আবেদন করছি তাঁরা যেন নিজেরাও পর্যবেক্ষণে থাকেন। আমার সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন স্বাস্থ্য বিভাগই তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ করবে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সবার সঙ্গে দেখা হবে।'

তবে দেশে সংক্রমণ বাড়লেও আশা দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাসকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ লক্ষ ৮ হাজার ৯৩৭ জন। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দেশে এখন ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ২২০। দেশে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭০.৭৭ শতাংশ। কোভিডে মৃত্যুর হার নেমে এসেছে ১.৯৬ শতাংশে।

আরও পড়ুন: লালকেল্লা থেকে ভাষণে চিন ও পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি, করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও বড় ঘোষণা মোদীর

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার  গোটা দেশে আট লক্ষের উপর কোভিড টেস্ট হয়েছে। দিন কয়েক আগেও যা ভাবা সম্ভব ছিল না। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৮৫  লক্ষ ৬৩  হাজার ৯৫ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সব রাজ্য মিলিয়ে ৮ লক্ষ ৬৮  হাজার ৬৭৯  নমুনার কোভিড টেস্ট হয়েছে। 

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে তাকে বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। মঙ্গলবার থেকেই এই হার ন’শতাংশের নীচে নেমেছে। শুক্রবার  তা আরও কমে হয় ৭.৬১ শতাংশ। শনিবার তা আরও কমে হয়েছে ৭.৪৮ শতাংশ। সংক্রমণ হার কমার সঙ্গে সঙ্গে গত এক সপ্তাহে নিয়মিত ভাবে বেড়েছে করোনা পরীক্ষা। 

আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত থেকে সবার জন্য স্বাস্থ্য কার্ড, লালকেল্লায় 'ভোকাল ফর লোকালে'র স্লোগান মোদীর কন্ঠে

শুরু থেকেই ভারতে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৭৩৪ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ২৪৫ জন। সংক্রমণ তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে এখন মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ১১ হাজার ১০৮। তবে জুলাই থেকেই রাজধানী দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বেশ খানিকটা লাগাম পড়েছে। রাজধানীতে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৫২ জন। উত্তরপ্রদেশে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৮৭ জন। সংক্রমণ তালিকার সপ্তমে থাকা পশ্চিমবঙ্গে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১০ হাজার ৩৫৮ জন।

 

 

এদিকে করোনা আবহে লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আশার খবর শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী  জানান, তিন তিনটি করোনা প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে দেশে।  সরকার প্রতি ঘরে সেই সব প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে একেবারে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজ্ঞানীরা অনুমতি দিলেই, উত্পাদনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আর তারপর কত কম সময়ে প্রত্যেক নাগরিকের ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায়, তার রোডম্যাপ প্রস্তুত বলে  জানান প্রধানমন্ত্রী।