সংক্ষিপ্ত
ত্রিপুরায় ভোটে জয়ী বিজেপিস প্রার্থী মানিক সাহা। আজই ত্রিপুরা ও নাগাল্যান্ড জয়ের জন্য দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেস জোটকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরার ঝুলিতে রয়েছে ৩৩টি আসন। যা সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে থেকে বেশি। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজবব ৩১টি আসন। এখনও পর্যন্ত বিজেপি ৩৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি বড়দোয়ালির বিজেপি প্রার্থী মানিক সাহা ১ হাজার ২৫৭ ভোটে ভোটে জয়ী হয়েছেন। তিনি হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী আশিস সাহাকে।
এদিন সকালেই মানিক সাহা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়েছিলেন পুজো দিতে। তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই তিনি ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের মন্দিরে গিয়েছিলেন আশীর্বাদ নিতে। ভোটে জেতার পরই বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের শুভেচ্ছার মধ্যে দিয়েই দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন মানিক সাহা। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সম্বিত পাত্র ও রাজ্য ও কেন্দ্রের বিশিষ্ট নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রের খবর বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলীয় ও কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন। ত্রিপুরায় দলের জয়ের পাশাপাশি নাগাাল্যান্ডে বিজেপি জোটের জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানাবেন দলীয় নেতা কর্মী ও ভোট দাতাদের। ত্রিপুরা জয় বিজেপি কাছে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই রাজ্যে বিজেপি লড়াই করেছে বাম ও কংগ্রেস জোটের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ত্রিপুরাকর আঞ্চলিক দল টিপরা মোথাও নির্বাচনে একটি বড় ফ্যাক্টর। কারণ এই দলটি বিজেপির আদিবাসী ভোটে ভাগ বসিয়েছে।
অন্যদিকে ত্রিপুরায় বিজেপির সাফল্য দলের নেতাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন এই অঞ্চলের লোকেরা প্রথমবারের জনয দেখছে বিজেপি সরকার এলাকার শান্তি আর উন্নয়নে কতটা জোর দেয়। বিজেপির সরকারই রাজ্যের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কেন্দ্র ও উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে যে ব্যবধান ছিল তা মোদী সরকার দূর করেছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ বলেছেন ত্রিপুরা থেকে বিজেপি কংগ্রেসকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রস্তুত।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বিজেপির ত্রিপুরার মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেছেন, বিজেপি সরকার গঠনের জন্য অগ্রসর হচ্ছে। এই অবস্থায় তারা টিপরা মোথার সঙ্গে হাত মেলাতে চায়। বিজেপি বৃহত্তর টিপ্রাল্যান্ড ছাড়া টিপরা মোথার সমস্তা দাবি মেনে নেবে। পরিবর্তে সরকার গঠনের জন্য তাদের সমর্থন চায়।
বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, আগামী দিনে বিজেপি ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই কেন্দ্রীয় নেতা সম্বিত পাত্র ও ফণীন্দ্রনাথ শর্মা বর্তমানে ত্রিপুরায় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে দিল্লি থেকে আরও কেন্দ্রীয় নেতা রাজ্যে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন প্রয়োজনে টিপরা মোথার প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মার সঙ্গে আলোচনা করতেও রাজি বিজেপি।