সংক্ষিপ্ত

ত্রিপুরায় বিজেপির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বুথফেরত সমীক্ষা। আর সেই কারণেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে।

 

অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়া টুডে বা আজতসহ একাধিক সংবাদ মাধ্যমের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত রয়েছে ত্রিপুরায় আবারও ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি। যদিও নির্বাচনের আগে বিজেপি ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তাই স্বভাবই মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। বিজেপিরই একটি সূত্রের দাবি ত্রিপুরায় গেরুয়া সরকার গঠন হবে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে মানিক সাহা। বিপ্লব দেবকে ফিরিয়ে আনার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছে রাজ্য বিজেপির একটি সূত্র।

ভোটের কয়েক মাস আগেই বিপ্লব দেবকে সরিয়ে ত্রিপুরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মানিক সাহাকে। বিজেপি অন্য রাজ্যগুলিতে যেমন করে এখানেও মোদী ম্যাজিকের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচনে লড়াই করেছিল ও জয়ের আশা করেছিল। তবে একাধিক চ্যানেলের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখল করছে বিজেপির। তাই স্বভাবই মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মানিক সাহা। বুথ ফেতর সমীক্ষাতেও মানিক সাহার ওপরেই আস্থা রেছেন ত্রিপুরার মানুষ। বিজেপিরই একটা অংশ মনে করছে বিপুল এই জয়ের কারণে মানিক সাহাকেই মুখ্যমন্ত্রী রাখবে বিজেপি।

অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে-র সমীক্ষার ফলাফল হলঃ

ভোটের আগে এই রাজ্যে বিজেপি কিছুটা হলেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। একদিকে বাম - কংগ্রেস জোট। অন্যদিকে টিপরো মোথা। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের ঝোড়ো প্রচার আর ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচারে কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল বিজেপি। যদিও বাম আর কংগ্রেসের জোট সরব হয়েছিল গত পাঁচ বছরে ত্রিপুরার সমস্যা গুলি নিয়ে। তবে বিজেপির সামনে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল টিপরা মোথা। আদিবাসীদের এই দল ভোটে যেভাবে প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে করা হয়েছিল তা হয়নি। বিভিন্ন সমীক্ষায় এই দল ৯-১৬ টি আসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে।