সংক্ষিপ্ত

Smartphone News: ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২০ কোটিরও বেশি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৫ কোটি। শুধু তাই নয় ভারতের মতোন বিশাল জনবহুল এই দেশে মাত্র ১২ সেন্ট প্রতি গিগাবাইট (জিবি) মূল্যে সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়।    

Smartphone News: দিন যত এগোচ্ছে ততই আধুনিক হচ্ছি আমরা। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে বাড়ছে স্মার্ট ফোনের চাহিদা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং করার প্রবণতা। কিন্তু এই অভ্যাস আপনার আমার জীবনে বিপদ ডেকে আনছে না তো? কী বলছে এই বিষয়ে গবেষণা। জানা গিয়েছে, ভারতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২০ কোটিরও বেশি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৫ কোটি। শুধু তাই নয় ভারতের মতোন বিশাল জনবহুল এই দেশে মাত্র ১২ সেন্ট প্রতি গিগাবাইট (জিবি) মূল্যে সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যায়।

ভারতের বাজারে সস্তা মোবাইল ফোন এবং সস্তা ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম। বলা বাহুল্য এই কারণে সাধারণ মানুষ থেকে নেটিজেন, সবার মধ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইন্টারনেট-মোবইলের প্রতি আসক্তি। সহজলভ্য ইন্টারনেটের কারণে প্রচুর মানুষ এখন অবসর যাপনে বই নয় ইন্টারনেটে মুখ গুজে থাকেন। এমনটাই উঠে এসেছে গবেষণায়।

ইওয়াই-এর সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে, ভারতীয়রা আগের চেয়ে বেশি সময় তাদের মোবাইল ফোনে ব্যয় করছেন। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতীয় মোবাইল ব্যবহারকারীরা প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, গেমিং এবং ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে ব্যয় করেন। সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছে যে, সহজলভ্য ইন্টারনেট এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অ্যাক্সেসের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে।

ইওয়াই-এর বিশ্লেষণ অনুসারে, ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা এখন ভারতের মিডিয়া এবং বিনোদন ব্যবসার প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে টেলিভিশনকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। যা ২০২৪ সালে ২.৫ ট্রিলিয়ন রুপি (২৯.১ বিলিয়ন ডলার) ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে।

গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, ভারতীয়দের দিনের বেশিরভাগ সময় চলে যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেমিংয়ে। যা প্রতিদিনের পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ।

গবেষণায় দাবি, ভারত হল এখন বিশ্বের বৃহত্তম ডিজিটাল বাজার। যেখানে ২০২৪ সালে মানুষ ১.১ ট্রিলিয়ন ঘণ্টা ব্যয় করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও দৈনিক মোবাইল স্ক্রিন টাইমের দিক থেকে ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতের স্থান তৃতীয়। ইন্টারনেটে ভারতীয়দের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার কারণে ইলন মাস্ক এবং মুকেশ আম্বানির মতো ধনকুবেরদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ছে। এবং অ্যামাজন এবং মেটার মতো আন্তর্জাতিক আইটি জায়ান্টদের মধ্যেও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এই সব ধনকুবেররা তাঁদের ব্যবসা আরও ভালো করতে এবং ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলেই মনে করা হচ্ছে। ক্রমশ ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার যখন বাড়ছে, তখন মিডিয়া—টেলিভিশন, মুদ্রণ এবং রেডিও—র আয় এবং বাজার, শেয়ার উভয় ক্ষেত্রেই হ্রাস পেয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।