সংক্ষিপ্ত
- সূর্যগ্রহণ দেখতে আগ্রহী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী
- মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তাঁকে হতাশ করল
- তাঁর সেই ছবি নিয়ে মিম তৈরির আহ্বান
- কী জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী
ফের নেটিজেনদের মন জিতে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার সকালে ছিল এই দশকের শেষ বার্ষিক সূর্যগ্রহণ। কোটি কোটি ভারতীয়ের মতো এই মহাজাগতিক ঘটনা নিয়ে দারুণ উৎসাহিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীও। এদিন সকালে সূর্যগ্রহণ দেখার উপযুক্ত চশমা নিয়ে তৈরিও ছিলেন। কিন্তু কোথায় কী, দিল্লির মেঘঢাকা আকাশে সূর্যদেবেরই দেখা নেই।
তবে মোদীর মনের সাধ একেবারে পূরণ হয়নি তা নয়। চর্মচক্ষে গ্রহণ দেখা না হলেও কোঝিকোড় থেকে লাইভ স্ট্রিমিং-এ তিনি গ্রহণের দৃশ্য দেখেন। পরে তিনি এই বিষয়ে টুইট করে বলেন, অনেকানেক ভারতীয়ের মতো তিনিও সূর্যগ্রহণ দেখতে আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু মেঘাচ্ছন্ন আকাশে তিনি তা দেখতে পাননি। তবে কোঝিকোড় থেকে লাইভ স্ট্রিমে তিনি গ্রহণের ঝলক দেখেছেন। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই মহাজাগতিক বিষয়ে অনেক জ্ঞান-ও আহরণ করেছেন বলে জানান তিনি।
তবে, তাঁর এই লেখার থেকেও সঙ্গে পোস্ট করা ছবিটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি চর্চিত হয়েছে। সেই ছবিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ছিল গ্রহণ দেখার চশমা, আর চোখে রোদ চশমা। হতাশ মুখে তিনি মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন।
মোদী এই ছবি মুহূর্তে ছড়ায় সোশ্য়াল মিডিয়ায়। এক রসিক নেটিজেন লিখে দেন, নরেন্দ্র মোদীর এই ছবিটি মিম করার মতো। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন, আকাশ মেঘলা তাকলেও ঝকঝক করছে তাঁর মন। কয়েক মুহূর্ত যেতে না যেতেই তিনি পাল্টা টুইট করে ওই টুইটার ব্যবহারকারীকে জবাব দেন, 'আপনাদের স্বাগত, এনজয় করুন'।
মিম সাধারণত ব্যঙ্গার্থেই তৈরি করা হয়ে থাকে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ব্যঙ্গচিত্র শেয়ার করার 'অপরাধে' হাজতবাস করতে হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র-কে। প্রদানমন্ত্রী কিন্তু বুঝিয়ে দিলেন, তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ হলেও তিনি তা খোলা মনে গ্রহণ করতে পারেন। তাঁর এই আচরণ স্বাভাবিকভাবেই রসিকতায় পারদর্শী নেটিজেনদের মন জিতে নিয়েছে। নেটিজেনরা তাঁকে ডাকছেন 'মিস্টার কুল' বলে।