সংক্ষিপ্ত

জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার পম্বাই এবং গোপালপোরা গ্রামে শুরু হয় এনকাউন্টার। এই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে পাঁচ জঙ্গি। 

বুধবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) কুলগাম জেলার (Kulgam district) পম্বাই (Pombai) এবং গোপালপোরা (Gopalpora) গ্রামে শুরু হয় এনকাউন্টার (encounters)। এই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে পাঁচ জঙ্গি (Five terrorists)। আইজিপি কাশ্মীর বিজয় কুমার জানিয়েছেন অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। কাশ্মীর জোন পুলিশের টুইটার হ্যান্ডেলের শেয়ার করা একটি আপডেট অনুসারে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন টিআরএফের কমান্ডার আফাক সিকান্দার গোপালপোরা এনকাউন্টারে নিকেশ হয়েছে। রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট বা টিআরএফ, লস্কর-ই-তইবা গোষ্ঠীর একটি শাখা। 

দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এখনও ওই এলাকায় আটকে রয়েছে দুই বা তিনজন জঙ্গি।  পুলিশের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, পম্বাইতে তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গি নিহত হয়েছে এবং গোপালপোড়ায় দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী অন্যান্য জঙ্গির সন্ধানে এই দুটি এলাকায় এখন জঙ্গিদমন অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেনা সূত্রের বরাত দিয়ে একটি আপডেট অনুসারে, একাধিক আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

ইতিমধ্যে, পুলওয়ামা পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ নাকা চেকিংয়ের সময় আমির বশির এবং মুখতার ভাট নামে দুই এলইটি জঙ্গি-সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে আইইডি উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ভারতীয় সেনাবাহিনী জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী-সমর্থিত জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। একটি পৃথক ঘটনায়, বারামুল্লা জেলার পালহালান এলাকায় গ্রেনেড হামলায় দুই সিআরপিএফ কর্মী এবং কিছু সাধারণ মানুষ আহত হন। 

এদিকে, সিকিওরিটি ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছে জম্মু কাশ্মীর জুড়ে যেভাবে তল্লাশি অভিযানের হার বাড়িয়েছে সিআরপিএফ, তাতে সাফল্য এসেছে। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া খতিয়ান জানাচ্ছে এই বছরে ১৩৮ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই সঙ্গে  সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি বছরের শুরু থেকে উপত্যকায় প্রায় ৭০০জন ওভারগ্রাউন্ড কর্মীকে আটকে রেখেছে। সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলার ঘটনা বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন সিআরপিএফ উপত্যকায় আরও ৫৫০০ জওয়ান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

অক্টোবর মাস থেকেই উপত্যকায় সিআরপিএফের ২৫টি অতিরিক্ত কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর। বেশ কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মীর জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে জঙ্গিরা। তাঁদের নিশানায় বরাবারই থাকছে রাজ্যের সাধারণ মানুষ বা ভিন রাজ্য থেকে রুজির টানে যাওয়া প্রবাসী শ্রমিকরা। এছাড়াও জঙ্গিদের অন্যতম নিশানা কাশ্মীরি পন্ডিতরা। স্থানীয় প্রশানের কথায় জঙ্গিরা উপক্যতায় আতঙ্ক ছড়াতেই এজাতীয় হামলা চালাচ্ছে। হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে উভয় সম্প্রদায়ের সাধারণ মানুষকেই টার্গেট করছে জঙ্গিরা।