সংক্ষিপ্ত

প্রতারণার অভিযোগ ছিল। ১৫ বছর ধরে ফেরার ছিল অভিযুক্ত। অবশেষে ছদ্মবেশী পুলিশের জালে পড়ল পলাতক।

 

মাত্র দুটি সোনার প্রলেপ দেওয়া দাঁত- ১৫ বছর পরে ধরিয়ে দিল অপরাধীকে। মুম্বই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৩৮ বছর বয়সী আশুভা প্রভিন জাদেজাকে। প্রায় ৪০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সেই সময় পুলিশ গ্রেফতার করলেও পুলিশের জাল কেটে পালাতে সক্ষম হয়েছিল আশুভা। তারপর একাধিকবার নাম পরিবর্তন করে নিজের আসল পরিচয় লুকিয়ে একাধিক রাজ্যে গিয়ে গা ঢাকা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

প্রতারণার অভিযোগ

প্রভিন আশুভা জাদেজা একটি কাপড়ের দোকানের কর্মী ছিল। সালটা ২০০৭ । সেই সময় তাকে তার মালিক অন্য এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আনতে পাঠিয়েছিল। ৪০ হাজার টাকা আনার কথা ছিল। প্রভিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আনে। কিন্তু তারপর সে সেই টাকা আত্মসাৎ করে। পুলিশ ও নিজের মালিককে ভুল পথে চালিত করে। সে বলেছিল তার টাকা ভর্তি ব্যাগ লুঠ হয়ে গেছে। কিন্তু পরবর্তীকালে পুলিশ তথ্য প্রমাণ পেয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে তার কাছেই রয়েছে ৪০ হাজার টাকা। 

পাখি উড়ে যায়

পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। আদালতে পেশও করা হয়েছিল। আদালতে শুনানিতে জামিন পেয়ে যায়। কিন্তু তারপরই সে ফেরার হয়ে যায়। আর কোনও পাত্তা পায় না পুলিশ। আদালতও তাকে পলাতক ঘোষণা করে বাধ্য হয়ে।

কেস রিওপেন

প্রভিন আশুভা জাদেজার কেস রিওপেন হয় সম্প্রতি। প্রভিনের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। তার আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু প্রথমে প্রভিনের কোনও সন্ধান পায়নি। তবে বন্ধু ও পরিবারকে ট্র্যাক করতে থাকে।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে গুজরাটের কচ্ছ জেলার তালুকাতে নাম বদল করে রয়েছে। মাণ্ডভি গ্রামেও লুকিয়ে ছিল সে। এলআইসির এজেন্টের ছদ্মবেশে পুলিশ তার পিছু নেয়। তারপর বিমার জন্য ডেকেও পাঠান। সেই সময়ই প্রভিন ছদ্মবেশী পুলিশের সামনে হাজির হয়। তারপরই গ্রেফতার করে। জেরায় ভেঙে পড়ে প্রভিন সবকথা জানিয়ে দেয় বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।