সংক্ষিপ্ত

সুপ্রিম কোর্টের শূন্যপদ পুরণ হয়ে গেল। হাইকোর্টের দুই প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের দায়িত্ব পেলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কিরেন রিজিজু।

 

পূর্ণ শক্তি ফিরে পেল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের দুই প্রধান বিচারপতিতে সুপ্রিম কোর্টে উন্নীত করা হয়েছে। যারফলে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক সংখ্যা ৩৪ হয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইট করে নতুন দুই বিচারককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের দুই প্রধান বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকপদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা হলেন, রাজেশ বিন্দাল, যিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যজন অরবিন্দ কুমার, গুজরাট হাইকোর্টের দায়িত্বে ছিলেন।

এই দুই বিচারপতি শপথ গ্রহণের পর সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৪। যা সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণ শক্তি। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম তাদের নাম সুপারিশ করেছিল। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনেই গত মাসে শীর্ষ আদালত পাঁচ বিচারপতিকে নিয়োগ করেছিল। তবে কলেজিয়াম নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে শীর্ষ আদালতের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কলেজিয়াম প্রথা তুলে দিয়ে নতুন প্রথা চালু করতে চাইছে। যাতে বাধ সেধেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কলেজিয়ামের কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সরকারের তেমন কোনও ভূমিকা নেই।

শুক্রবার অ্যাটর্নি জেনারেল এই নিয়োগের জন্য ১০স দিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু শনিবারই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে আইনমন্ত্রক। নিয়োগের পরই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, ভারতের সংবিধানের অধীনে ভারতের রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, বিচাকর ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ করেছেন। তিনি প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

যাদের নিয়োগ করা হল তাঁরা হলেন, রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তাল, পাটনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জয় করোল, পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ, মণিপুর হাইকোর্টের বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচাপতি মনোজ মিশ্র।

গত ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম অনুযায়ী তাদের নাম সুপারিশ করেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কলেজিয়ামের পূর্ব নিয়ম মানতে রাজি নয়। যা নিয়ে কিরেন রিজিজু আপত্তি জানিয়েছিল। দুই তফরেই নিজেদের মতপার্থক্য প্রকাশ করেছে। আইনমন্ত্রী রিজিজু সম্প্রতি কলেজিয়ামকে ভারতীয় সংবিধানের "বিজাতীয়" হিসাবে বর্ণনা করেছেন, যখন সহ-রাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধানখার ২০১৫ সালে জাতীয় বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন আইন এবং একটি সম্পর্কিত সংবিধান সংশোধনী আইনকে বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টকে প্রশ্ন করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ

গুরুত্বপূর্ণ খনিজ লিথিয়ামের ভাণ্ডারের সন্ধান জম্মু ও কাশ্মীরে, পাওয়া গেল ৫টি সোনার খনির সন্ধান

আদানি মামলার শুনানিতে রাজি সুপ্রিম কোর্ট, মামলা শুরু হবে শুক্রবার থেকে

মোদীর প্ল্যাস্টিক জ্যাকেট বনাম খাড়গের উত্তরীয়, আদানি ইস্যুতে প্রশ্ন তুলে বিপাকে কংগ্রেস