করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিল্লিতে ১৪ হাজার পেরিয়েছে এর মধ্যেই জোড়া অগ্নিকাণ্ডের গ্রাসে দেশের রাজধানী বিধ্বংসী আগুন লাগল তুঘলকাবাদের বস্তিতে আগুনের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেল না জুতো কারখানাও

করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। ইতিমধ্যে কেজরিওয়ালের রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারমধ্যে দেশে চলা চতুর্থদফার লকডাউনে বেশকিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে রাজধানীতে। এরমধ্যেই ভয়াবহ দুটি অগ্নিকাণ্ডী দেখল দিল্লিবাসী। প্রথম অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কেশবপুরমে। একটি জুতো তৈরির কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। নিমেষে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে যায় গোটা কারখানা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় দমকলের মোট ২৩ টি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় দমকল বাহিনীকে।

Scroll to load tweet…

এদিকে সোমবার গভীর রাতে রাজধানীতে দ্বিতীয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব তুঘলকাবাদ এলাকায়। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ১,৫০০টি ঝুপড়ি। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে হতাহতের কোনও খবর নেই।

গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে আচ্ছন্ন তখন আগুনের লেলিহান শিখা নিমেষে গ্রাস করে নেয় গোটা বস্তিকে। তবে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি পুলিশ ও দমকল অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে বস্তিবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। 

Scroll to load tweet…

দমকল সূত্রে জানা গেছে, রাত ১২টা ৫০ মিনিটে তাদের কাছে আগুন লাগার খবর পৌঁছয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের ২৮টা ইঞ্জিন। তৎপরতার সঙ্গে খালি করা হয় বস্তি। প্রায় ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোর পৌনে ৪টে নাগাদ আগুন নেভাতে সক্ষম হন দমকল কর্মীরা। 

এই বিধ্বসংসী অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে দেশে চলা লকডাউনের মধ্যেই কাজের পাশাপাশি একফালি ছাদও হারিয়ে ফেললেন রাজধানীর অনেক বাসন্দাই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়লেন শয়ে শয়ে মানুষ।