সংক্ষিপ্ত
বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাস সংকট
কিন্তু তাতেও ভারতে ধর্ষণ থামছে না
মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ - দেশের দুই করোনাধ্বস্ত রাজ্য়েই আক্রান্ত হল দুই নাবালিকা
তাহলে কি ভারতীয় মেয়েদের বাঁচার একমাত্র পথ লকডাউন
সারা বিশ্ব যেখানে সংক্রমণের ভয়ে কাঁপছে। কিন্তু তারপরেও ভারতে বেপরোয়া ধর্ষকরা। লকডাউনের মধ্যেই গত দুইদিনে, দুই নাবালিকাকে ধর্ষিতা হতে হয়েছে। একটি ঘটনা ঘটেছে বুধবার বিকেলে মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলায়, আরেকটি ঘটেছে তার আগের দিন উত্তরপ্রদেশের সীতাপুর জেলায়।
বৃহস্পতিবার, মধ্যপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, দামোহহ জেলার জাবেরা তহসিল এলাকায় বুধবার বিকেলে বাড়ির কাছেই এক জায়গায় হলল্প করছিল কয়েকটি শিশু। সেখান থেকেই এক ৬ বছরের নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। তার বাড়ির কাছেই একটি পরিতক্ত বাড়িতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় ওই দুষ্কৃতী। এদিন সকালে মেয়েটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, তার মুখে অসংখ্য আঘাত রয়েছে। একটি চোখ প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এতটাই ফুলে আছে, যে ডাক্তাররা পরীক্ষা করতেও পারছেন না। তবে তার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থীতিশীল।
অপরদিকে উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে লকডাউনের মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে একটু হাঁটতে বেরিয়েছিল এক ১৩ বছরের কিশোরী। তাকে কাছের এক বন্ধ থাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে পালা করে গণধর্ষণ করে দুই ব্যক্তি। আর আরও চারজন সেই ধর্ষণের দৃশ্য তাদের মোবাইল ফোনের ক্য়ামেরায় বন্দি করে অভিযোগ। পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে বসন্ত ও বাবলু নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
সারা বিশ্ব এখন মানব সভ্যতার শত্রু করোনাভাইরাস-কে কীভাবে পরাজিত করা যায় সেই উদ্বেগে রয়েছে। এদিনই ব্রিটেন ও জার্মানিতে মানুষ-কে টিকা দিয়ে পরীক্ষা করা শুরু হল। টিকা তৈরি হয়ে গেলে করোনা হারবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু, ভারত ধর্ষণ ভাইরাস দূর হবে কীভাবে? ফাঁসি, এনকাউন্টার - কোনও ওষুধেই তো কাজ দিচ্ছে না। তাহলে কী ভারতীয় মেয়েদের সারাজীবন সুরক্ষিত তাকতে লকডাউন মেনে ঘরে বসে থাকতে হবে?