সংক্ষিপ্ত

প্রকাশিত হল ইউজিসি-র অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যই তৈরি হয়েছে এই সূচি

এর আগে সেপ্টেম্বরে ক্লাস শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল

পরিবর্তিরত পরিস্তিতিতে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে গেল আরও দুই মাস

 

মঙ্গলবার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল টুইটারে সেই অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারটি শেয়ার করেছেন। এদিনই কলেজে ভর্তির সময়সীমা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদনের শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে ইউজিসি-কে ২৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার ঘোষণা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশ্য তার আগেই ইউজিসির পক্ষ থেকে তা প্রকাশ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানানো হয়।

ইউজিসির ক্যালেন্ডার অনুসারে, নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাকাডেমিক অধিবেশন শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। শিক্ষামন্ত্রী পোখরিয়াল টুইট করে জানান, কোভিড-১৯ মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কমিটির প্রতিবেদন গ্রহণ করেছে এবং ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের জন্য অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের নির্দেশিকা অনুমোদন করেছে। ইউজিসি-র পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নভেম্বরের থেকেও যদি দেরি করা হয়, তবে তা পরবর্তী অ্যাকাডেমিক অধিবেশনেও প্রভাব ফেলবে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নভেম্বর মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি বা মাইগ্রেশন বাতিলের পুরো অর্থই ফেরত দেওয়া হবে। লকডাউন এবং সেই সম্পর্কিত অন্যান্য কারণে এই অর্থ না ফেরত দিলে বাবা-মায়েরা আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়তেন বলে মনে করছে কমিশন। আর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি বাতিল বা প্রত্যাহারের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহিত অর্থ থেকে ১০০০ টাকা কেটে নিয়ে বাকিটা ফেরত দেওয়া হবে। প্রসেসিং ফি হিসাবে ওই ১০০০ টাকা কেটে নেওয়া হবে।

এর আগে গত এপ্রিল মাসে ইউজিসি, কলেজগুলির জন্য বিকল্প অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছিল। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কলেজগুলি ফের চালু করার কথা ছিল। প্রবেশিকা পরীক্ষায় দেরি এবং কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে অধিবেশনটি আরও দুই মাস পিছিয়ে দিতে হয়েছে।