সংক্ষিপ্ত

মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতে পা রেখেই ভারতের জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বরিস জনসন। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের হাতে চরকা কাটতে দেখা যায় তাঁকে।

দু'দিনের জন্য ভারত সফরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাটের আমেদাবাদে নামেন তিনি। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা রয়েছে। বাণিজ্য থেকে প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাঁদের আলোচনায় উঠে আসবে বলে জানা গিয়েছে। আর সফরের প্রথম দিন মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমিতে পা রেখেই ভারতের জাতির জনকের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বরিস জনসন। মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিজের হাতে চরকা কাটতে দেখা যায় তাঁকে। এছাড়া সেখানে থাকা ‘ভিসিটরস বুকে’-ও বিশেষ বার্তা লেখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, সবরমতী আশ্রমে একটি চরকার সামনে বসে রয়েছেন বরিস জনসন। আর দুই হাত দিয়ে চরকা কাটার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁকে সাহায্য করছেন দুই মহিলা। কীভাবে কাটতে হবে তা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে শিখিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। আর তাঁদের কথা মেনেই চরকা কাটার চেষ্টা করছেন তিনি। বিষয়টি যে তিনি বেশ উপভোগ করছেন তা অবশ্য তাঁর মুখ দেখেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। 

 

 

আরও পড়ুন- সম্প্রীতির সঙ্গে কোনও আপোষ নয়- দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার আবহে বার্তা মোদীর

এরপর সবরমতী আশ্রমের ভিসিটরস বুকে বরিস জনসন লেখেন, "এই অসাধারণ মানুষটির আশ্রমে আসা একটা বিশাল বড় সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি কীভাবে বিশ্বকে উন্নত করার জন্য সত্য ও অহিংসার এত সহজ নীতিগুলিকে সংগঠিত করেছিলেন তা বুঝতে পারার জন্য এই আশ্রমে আসা উচিত।"

উল্লেখ্য, বরিস জনসন আজ সকালে আহমেদাবাদে এসে পৌঁছান। আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রত। তাঁকে স্বাগত জানাতে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রীরাও উপস্থিত ছিলেন। বরিস জনসনের সম্মানে সেই বিমানবন্দরে ঐতিহ্যবাহী গুজরাটি নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থেকে সোজা শহরের একটি হোটেলে যান তিনি। বিমানবন্দর থেকে হোটেলে যাওয়ার সময় দীর্ঘ চার কিলোমিটার পথের দুই ধারেই তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য় উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। সেখানেও রাস্তার ধারে ৪০ মঞ্চ করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন মমতা-সনিয়াসহ ১৩ বিরোধীর

এই সফরে শিল্পপতি গৌতম আদানি-সহ অন্যান্য শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জনসনের। তারপর ভদোদরায় একটি জেসিবি প্ল্যান্টও তাঁর দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া গান্ধীনগরে নির্মীয়মাণ গুজরাট বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করবেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাজ্যের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গড়ে উঠছে। আর গুজরাট সফর শেষ করার আগে অক্ষরধাম মন্দিরেও যাবেন তিনি। যা গান্ধীনগরের স্বামীনারায়ণ সেক্টরে অবস্থিত রয়েছে। এরপর শুক্রবার জনসন যাবেন দিল্লিতে। সেখানে সাক্ষাৎ করবেন মোদীর সঙ্গে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রেক্ষিতে রাশিয়া নিয়ে ব্রিটেন–সহ পশ্চিমী দুনিয়া যে অবস্থান নিয়েছে, তা নিয়ে তিনি মোদীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। 

আরও পড়ুন- 'সুপ্রিম' নির্দেশে আপাতত স্বস্তি জাহাঙ্গিরপুরীতে, ২ সপ্তাহ পরে আবার শুনানি